রাজ্যের খবর অর্থনীতি জেলার খবর

জ‍্যাকেটকান্ডে উত্তাল সাগরমেলা, ঘটল হাতাহাতির ঘটনা,উঠছে দুর্নীতির মারাত্মক অভিযোগ।

বিউরো — কথায় আছে ঢেঁকি স্বর্গে গিয়েও ধান ভাঙে যারই সত‍্যতা আরও একবার ধরা পড়ল এবারের সাগরমেলায়২০২২ এ।যেখানে মেলায় খবর করতে যাওয়া সাংবাদিক বন্ধুদের জন‍্য প্রস্তাবিত জ‍্যাকট বিলি নিয়ে উঠল মারাত্মক দুর্নীতির অভিযোগ।যা নিয়ে মেলা প্রাঙ্গনেই চললো চরম অসভ্যতা মারামারি হাতাহাতি।ঘটনার সূত্রপাত এবছরে গঙ্গাসাগর মেলায় খবর করতে যাওয়া সাংবাদিকদের দাবিমত শীতবস্ত্র জ‍্যাকেট কোর্ট দেওয়ার প্রস্তাব মেলা কমিটির পক্ষ থেকে নেওয়াকে কেন্দ্র করে হয়।যেখানে এবছর কোভিড সিচুয়েশনের কারণে বিগত বছরের অর্ধেক মাত্র ২৫০ জনের মত সাংবাদিকদের মেলায় নিয়ে যাওয়া হয়।আর এই সংখ‍্যক সাংবাদিকদের সরকারি তরফে একটি করে “প্রেস” স্টিকার সাঁটা জ‍্যাকেট দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়।যাই নিয়ে গত ১৪ জানুয়ারি মেলা প্রাঙ্গণে দুই দল সাংবাদিকদের মধ‍্যে ব‍্যাপক বচসা ও পরে তা থেকে হাতাহাতি লাথালাথিতে গড়ায়।কারণটা হল সরকারি নির্দেশিত ও বন্টনকৃত জ‍্যাকেট গুলি বেছে বেছে কয়েকজন সাংবাদিকদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছিল।যেখানে প্রকৃত সাংবাদিক নয় এমনও অনেকেই এই জ‍্যাকেট পেয়েছে এমনই অভিযোগ উঠতে শুরু করলে নিজেদের মধ‍্যে ব‍্যাপক মারামারি শুরু হয়।যারই পিছনে দুর্নীতির গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। প্রায় আড়াইশো সাংবাদিকদের জন‍্য বরাদ্দকৃত জ‍্যাকেটের মাত্র সত্তর জনের কপালে এই জ‍্যাকেট জোটে।বাকিগুলো কি ভাবে কাকে দেওয়া হল নাকি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।যারই সাথে নাম জড়িয়েছে সু্দরবন উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রীর আপ্তসহায়ক ও দায়িত্ব প্রাপ্ত একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে।বলা হচ্ছে জেলার এক বর্শিয়ান সাংবাদিকের দেওয়া লিষ্টের ভিত্তিতেই এই জ‍্যাকেট গুলো নাকি বিলি বন্টন করা হয়েছে।যারই কেচ্ছা ঢাকতে এখন নাজেহাল খোদ জেলা প্রশাসন।যাই সম্পর্কে বিরোধীদের তীর্যক মন্তব্য শাসকদলের তরফে মেলা করার একটাই উদ্দেশ্য টাকা আত্মসাৎ।যা গঙ্গাসাগরের পবিত্র ভুমিকেও ছাড় দিল না। এনিয়ে অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্হার এক প্রতিনিধি বাসব রাজুকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি পুরো দায় মন্ত্রীর আপ্তসহায়কের ঘারে চাপিয়ে দিয়ে বলেন, বিডিও, বিএম এইচ ও দপ্তর থেকে দেওয়া জ‍্যাকেট গুলো ব‍্যাপারে যা কিছু ঘটনা তিনিই বলতে পারবেন।যদিও অভিযুক্ত সাংবাদিক অক্ষয় কুমার করের বক্তব্য আমাকে গত ১০ জানুয়ারি মেলার উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা মাত্র ৫৭ টি জ‍্যাকেট বন্টনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন।যেখানে খুব স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে,কিভাবে স্বচ্ছতার সাথে এই কটি জ‍্যাকেট কোর্ট বিলি করা সম্ভব!যারই পিছনে উঠছে দুর্নীতি স্বজন পোষনের অভিযোগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *