রাজনৈতিক খবর

CPIM:তৃণমূলের ‘ দিদিকে বলো’ র পাল্টা ‘পার্টিকে বলো’ কর্মসূচি ঘোষণা সিপিএমের!!

তনুশ্রী ভান্ডারী ডেক্স ঃ-

তৃণমূলের (TMC) ‘দিদিকে বলো’র পাল্টা সিপিএমের (CPIM) ‘পার্টিকে বলো’। তৃণমূলের ‘দুর্নীতি’ ধরতে সিপিএমের ‘পার্টিকে বলো’ অভিযান। পথে নামানো হবে রেড ভলান্টিয়ারদের (Red Volunteer)। যুক্ত করা হবে সাধারণ মানুষকেও, জানানো হল সিপিএমের (CPIM) তরফে। রাজ্য সম্পাদক হওয়ার পর মহম্মদ সেলিমের প্রথম বড় কর্মসূচি ‘পার্টিকে বলো।’

নয়া কর্মসূচি: ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পর ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির শুরু করেছিল তৃণমূল। এবার বিধানসভা নির্বাচনে শূন্যে নেমে যাওয়ার পর ‘পার্টিকে বলো’ কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে সিপিএম। তাদের দাবি, বর্তমানে তৃণমূলের পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির জেরে সাধারণ মানুষ বিরক্ত ও সমস্যায় জর্জরিত। এই পরিস্থিতিতে মানুষের এই বিরক্তিকে কাজে লাগিয়ে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে সংগঠনকে আন্দোলনমুখী করতে চাইছে সিপিএম।

পার্টিকে বলো: সম্প্রতি ‘পাহারায় পাবলিক’-এর মতো কর্মসূচি শুরু করেছে সিপিএম। এবার শুরু হচ্ছে ‘পার্টিকে বলো’। ঠিক কেমন হবে এই কর্মসূচি? সিপিএমের দাবি, তৃণমূলের ‘দিদিকে বলো’ মানে ছিল দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে অভিযোগ জানানো। আর তাদের ‘পার্টিকে বলো’ কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে দলের নীচুতলার কর্মীদের থেকে অভিযোগ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছবে। এর জন্য মূলত রেড ভলান্টিয়ার্সদের নিয়ে একটি বাহিনী তৈরি করতে চাইছে সিপিএম। স্থানীয় স্তরে কেউ প্রশাসন বা শাসকদলের দুর্নীতি অথবা অত্যাচারিত হওয়ার অভিযোগ করলে, প্রথমে তাঁদের পাশে দাঁড়াবেন রেড ভলান্টিয়ার্সরা। রেড ভলান্টিয়ার্সরাই সেই অভিযোগ পাঠিয়ে দেবে সিপিএমের উচ্চতর নেতৃত্বকে। প্রয়োজনে অভিযোগকারীর পাশে সর্বশক্তি দিয়ে দাঁড়াবে দল। তবে এক্ষেত্রে অভিযোগকারীর নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শমীক লাহিড়ি বলেন, “করোনার সময় রেড ভলান্টিয়ার্সরা যা কাজ করেছে, প্রশংসনীয়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা সরব হয়েছি। এবার প্রতিহত করা হবে। তাই তথ্য সংগ্রহ করছি। নির্দিষ্ট সময় আন্দোলন করা হবে।‘’

কটাক্ষ তৃণমূলের: সিপিএমের ‘পার্টিকে বলো’র কর্মসূচি প্রসঙ্গে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “২০২১-এ মানুষ শূন্য করে দিয়েছে। এখন ‘দিদিকে বলো’কে অনুসরণ করতে চাইছে। কিন্তু কোন পার্টিকে বলতে হবে, সুজন সিপিএম না সেলিম সিপিএমকে? ৩৪ বছর ধরে যা শাসন করেছে, ওদের আর কোনও জনসংযোগ নেই। এসব করে প্রচারে থাকতে চাইছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *