Blog দেশের খবর ফ্যাশন স্বাস্থ্য

বিবাহিত ব্যক্তির লিভিং সম্পর্কে নিরাপত্তার আদেশ পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের…

বিউরোঃ- ২০১৮ সালের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে, যেখানে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৪৯৭ (ব্যভিচার) উল্লেখ করে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট পাঞ্জাবের এক লিভ-ইন দম্পতির সুরক্ষা আবেদনের শুনানিতে বলা হয়েছে যে, আবেদনকারীরা কোনও অপরাধ করেননি।

তাঁপা প্রাপ্তবয়স্ক ও একে অপরের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে রয়েছে। আবেদনকারীরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিরপত্তা ও স্বাধীন ভাবে জীবন কাটানোর জন্য। পুরুষ সঙ্গী হাইকোর্টে আবেদনের সময় জানিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রী ও পরিবারের প্ররোচনায় পঞ্জাবের এসএসপি খান্না ও সামরালা থানার এসএইচও তাঁদের হয়রান করে তুলেছেন।

আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী দীনেশ মহাজন কোর্টকে জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল ডিভোর্সের পিটিশিন ফাইল করেছেন। কিন্তু এখনও তা হাইকোর্টে পেন্ডিং রয়েছে। এ বিষয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সালে একটি অর্ডারও পাস হয়েছে। এবং কোর্ট পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পেরেছে পুনর্মিলনের কোনও সম্ভাবনাই নেই।

পাশপাশি এই আইজীবী হাইকোর্টকে আরও জানিয়েছেন, আবেদনকারীরা একটি লিভ-ইন সম্পর্কে রয়েছেন। কিন্তু তাঁদের জীবনে ঝুঁকি রয়েছে স্বাধীন ভাবে জীবন কাটানোর ক্ষেত্রে। এসএইচও নিয়মিত তাঁদের হয়রান করছেন। বিচারপতি অমল রত্তন সিং-এর বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টের একটি মামলার উল্লেখ করে বলে, অ্যাপেক্স কোর্ট ভারতীয় সংবিধানের ৪৯৭ ধারার অন্তর্গত অনুচ্ছেদ ১৪, ১৫ এবং ২১ কে অসাংবিধানিক এবং লঙ্ঘনকারী হিসাবে বাতিল করেছে।

অমল রত্তন সিং-এর বেঞ্চ পাশাপাশি বলেছে, ‍’হাইকোর্টের বেঞ্চ আদেশ দিচ্ছে, এসএসপি খান্নাকে আবেদনকারীদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার বিষয়টি নিশ্চিত করার বিষয়ে।’ এ বিষয়ে এসএইচওকে একই নির্দেশ দিয়েছে পঞ্জাব হরিয়ানা হাইকোর্ট। পাশাপাশি বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, এসএসপি খান্না আবেদনটির জবাবে তার নিজের হলফনামা দাখিল করবেন। মামলাটি ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *