রাজনৈতিক খবর জেলার খবর রাজ্যের খবর

ডায়মন্ড হারবার পুরসভা নির্বাচন ত্রিমুখী লড়াইয়ে এগিয়ে ঘাসফুল পিছিয়ে হাতুড়ি পদ্ম

বিউরো ডেস্ক, ডায়মন্ড হারবারঃ- ডায়মন্ড হারবার পৌর নির্বাচন ২৭ ফেব্রুয়ারি।ত্রিমুখী লড়াইয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে সিপিএম ও বিজেপি।দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন মূলক কর্মসূচিতে বিগত পৌরবোর্ড অনেক কাজ করায় বিরোধীরা তেমন ইস্যু খুঁজতে ব্যর্থ হওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস অনেকটা এগিয়ে।
বিজেপি সিপিএম এবং তৃণমূল মিলে ৪৭ জন প্রার্থী দিয়েছে পৌরভোটে।নমিনেশন ফাইলের দিনে দেখা গিয়েছে শাসকদল তৃণমূল ছাড়া অন্যরা প্রার্থী ঠিকমতো দিতে পারেনি১৬টি ওয়ার্ডে।পরে কোনরকমে ম্যানেজ করে দাঁড় করিয়েছে তারা।
ডায়মন্ড হারবার পৌরসভার ভোটার সংখ্যা প্রায়৩৫হাজার।ছোট্ট পৌরসভার ৪০শতাংশ প্রার্থী মহিলা এবং তফসিলি উপজাতি হওয়ায় আনকোরা মুখের ছড়াছড়ি।অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের মুখ গুলো অনেকটা পরিচিত। যদিও পনের শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটার তবু কোন সংখ্যালঘু প্রার্থী করেনি তৃণমূল তাতে প্রথম দিকে একটু উষ্মা প্রকাশ করলেও পরে মেনে নেয় মুসলিমমরা।
অন্যদিকে ১৩নম্বর ওয়ার্ড প্রার্থী করেছে সিপিএম প্রাক্তন আইনমন্ত্রী আব্দুল কাইয়ুম মোল্লার পুত্রবধূ বিলকিস বানুকে।বিলকিস বানু যদিও পৌর ভোটে নতুন মুখ তবু ছাত্র আন্দোলনে কলেজ রাজনীতিতে ক্লাস প্রতিনিধি হয়েছিলেন।তাছাড়া রাজনৈতিক পরিমন্ডলে বড় হওয়া বিলকিস বানু গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় একটা পরিচিত মুখ।
অন্যদিকে যার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অমিত সাহা ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে ফকির চাঁদ কলেজের জি এস ছিলেন এবং ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ।অভিষেক তাঁকে টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি করেন।অভিষেক ব্যানার্জির অনুপ্রেরণা ও আন্তরিকতায় করোনার সময় অসহায় রোগী ভর্তি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের বাড়ি ওষুধ এবং খাবার পৌঁছে দিয়ে জনসাগযোগ বাড়িয়ে রাখায় বেশ কিছুটা সুবিধা পাবেন।
বিদায়ী পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রণব দাস ও এবার লড়ছেন তাঁর চিরপরিচিত ৫ নম্বর ওয়ার্ডে র পরিবর্তে ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে।
করোনা, আম্পান, ইয়াস ঝড়ে পৌর বোর্ড যেভাবে সাধারণ মানুষের পরিষেবা দিয়ে আসছেন সেখানে বিরোধী দল সিপিএম এবং বিজেপির ভূমিকা ছিল ডুমুরের ফুলের মতো।
রাস্তা ঘাট, স্ট্রিট লাইট, দুয়ারে সরকার কর্মসূচি ঠিকমতো পালন করে সাধারণ মানুষের পাশে ছিল তৃণমূল।
তবে ভোটের প্রচারে তেমন উত্তাপ দেখা যায়নি পদ্ম শিবিরের যোগ দেওয়া প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদারকে।তিনি বিজেপিতে গেলেও তেমন ভূমিকা নেননি পৌরভোটে।ফলে পদ্মের পাপড়ি খসে পড়ছে ভোটের আগেই।একই অবস্থা সিপিএমের।ত্রিমুখী লড়াই হলে দ্বিতীয় স্থানে থাকবে সিপিএম।একদম ব্যাকফুটে চলে যাবে বিজেপি।
প্রাক্তন পৌর মাতা মিরা হালদার এবারও তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।এখন দেখার কার ভাগ্য জেতে।
ডায়মন্ড হারবার পৌরসভার১৬টি ওয়ার্ড।প্রতিটি ওয়ার্ড সেজে উঠেছে দেওয়াল লিখন পোস্টার ব্যানার আর হোর্ডিংয়ে।সব দলই দাঁতে দাঁত চেপে নির্বাচনী আসরে নেমেছেন।দেশসেবা বলে কথা।কার ভাগ্যে শিকে চিড়বে সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *