নাজির সেখ, ডায়মন্ড হারবারঃ ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে নতুন দল তৈরি করে বামেদের সঙ্গে জোটে গিয়েছিল ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট। বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে ব্রিগেডের মঞ্চে হাজির ছিলেন ফ্রন্টের প্রধান উদ্যোক্তা আব্বাস সিদ্দিকী।আপাতত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জোটের কথা মাথায় না রেখে এককভাবে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে আইএসএফ। ডায়মন্ড হারবার এম বাজারের সামনে এক জনসমাবেশে এসে দলের চেয়ারম্যান বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী বলেন,রাজ্যজুড়ে সংগঠন মজবুত করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে,পঞ্চায়েত ভোটের আগে।
জোরালো ইঙ্গিতে চলছে চর্চা গত বিধানসভা নির্বাচনে জোট করে লড়াই করেছিল সেক্যুলার ফ্রন্ট। এখনও জোট নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। তবে জয়ের লক্ষ্যেই প্রার্থী দেওয়া হব বলে জানিয়ে দেন আইএসএফ বিধায়ক। সেইসব এলাকা ছাড়া যেখানে আমাদের সংগঠন আছে সেখানে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। জোট নিয়ে এখনও কথা হয়নি। আগামী দিনে চলার পথে আলোচনা হলে সেক্ষেত্রে কি হয় দেখা যাবে।এবং রাজ্য সরকারের উপর একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং তিনি বলেন ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া থেকে প্রচার ও ভোটের দিন লাগাতার সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।
রাজনৈতিক মহলের মতে,পঞ্চায়েতে ভোট দিতে না পারার ক্ষোভ মানুষ উগরে দিয়েছিল ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে। জানা গিয়েছে, এবার পঞ্চায়েতে ভোট দিতে যাতে কাউকে বাধা না দেওয়া হয় সেবিষয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা নেতৃত্বদের জানিয়ে দিয়েছেন।
নওশাদ সিদ্দিকীর স্পষ্ট বক্তব্য গত বিধানসভায় সিএএ দেখিয়ে ভোট নিয়েছে, বিজেপির জুজুতে ভোট হয়েছে জিতেছে তৃণমূল। এবার তা হবে না,তবে এবারও যদি পঞ্চায়েত ভোট ২০১৮-এর মতো হয় তাহলে ২০১৯-এর থেকেও ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফল আরও খারাপ হবে। সকল বাধা অতিক্রম করে এলাকার কয়েক হাজার সাধারণ কর্মী সমর্থক উপস্থিত হয়ে ছিল এই জন সমাবেশে।