বিউরো ঃ- সিংহভাগ মানুষ অন্তর্বাস সম্পর্কে সেরকম সজাগ নন। অন্তর্বাস সম্পর্কে প্রায় উদাসীনতাই রয়েছে বলা চলে। বাইরের পোশাকের দিকেই নজর বেশি থাকে ষ, সেখানে অন্তর্বাসের দিকে আর নজর দেয়া হয় না। তবে এই বিষয়ে সজাগ হওয়ার যথেষ্ট প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, টাইট অন্তর্বাস পরলে শারীরের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।
অন্তর্বাস সম্পর্কে সচেতন হয়ে কেনার সময়ই ভালোভাবে দেখে কেনা উচিত।
গবেষণা কী বলছে?
আমরা অনেকেই জানি যে, ধূমপান, মদ্যপান, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের জন্যে পুরুষের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হতে পারে। তবে সেটাই কী শুধু? সম্প্রতি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক গবেষণা প্রতিবেদনে গবেষকরা জানিয়েছেন যে আঁটসাঁট অর্থাত্ টাইট অন্তর্বাসের জন্য শুক্রাণু বা স্পার্ম কাউন্ট কমে যেতে পারে। হিউম্যান রিপ্রোডাকশন জার্নালে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বক্সার জাতীয় অন্তর্বাস পরলে শুক্রাণুর সংখ্যা বা ঘনত্ব বেশি হয়।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মেয়েরা যদি নিজের সাইজের থেকে ছোট প্যান্ট বা অন্তর্বাস পরেন, তাহলে তাদের ইউরিনারি ট্রাক ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। খুব টাইট প্যান্ট পরার জন্যে গোপনাঙ্গে ইস্ট ইনফেকশন হতে পারে। ফলে সাবধান হোন। দেশের লোকজন শারীরিক দিকে তথা বাহ্যিক পোশাক আশাক সাজের দিকে যতটা সচেতন, ততটা মোটেও ভিতর বা মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন নন। কিন্তু সচেতন নই বললে তো চলবে না ষ, সচেতন হতে হবে। স্টাইলিশ হওয়া ভালো কিন্তু নিজের ক্ষতি করে নয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, খুব বেশি স্টাইলিশ হতে গিয়ে ছোট অন্তর্বাস ব্যবহার করা মোটেও উচিত নয়। সাধারণ পোশাক কিনতে গিয়ে আমরা যেমন দেখেশুনে কিনি তেমনি অন্তর্বাসের ক্ষেত্রেও একই রকম হতে হবে। অন্তর্বাস কিনতে গিয়ে সচেতন থাকা খুব জরুরি।
এছাড়াও ব্যায়ামের জন্য অনেকে বিশেষ অন্তর্বাস (স্পোর্টস ব্রা) পরেন। খুব টাইট অন্তর্বাস পরলে নিম্নাঙ্গে ঘাম জমে চুলকানি হতে পারে। তাই অন্তর্বাস যখন কিনবেন, তখন সুতি নরম কাপড়ের অন্তর্বাস বেছে নিলেই ভালো শরীরের জন্য।
সুতির অন্তর্বাস কিনুন। যেটা আরামদায়ক। ফ্যান্সি কেনার প্রয়োজন নেই। আবার দিনে অন্তর্বাস পাল্টে ফেলতে হবে। অর্থাত্ সারাদিন একই অন্তর্বাস পরে থাকবেন না। আরো যেমন, এক থেকে দেড় মাস পর নতুন অন্তর্বাস কেনাটা জরুরি।অন্তর্বাস পরে কখনোই ঘুমাবেন না। অন্তর্বাস সবসময় পরিষ্কার রাখুন। মা দিদারা সবসময় একটি কথা বলেন, ছেঁড়া হোক কিন্তু যেন জামা কাপড় পরিষ্কার হয় — এটা খুব জরুরি। রোগশোক থেকে মুক্ত থাকুন জীবন সুন্দর। এবং সেটা ১০০ শতাংশ না হোক ৮০ শতাংশ অবশ্যই আপনার হাতে যে আপনি কীভাবে নিজেকে সুস্থ রাখবেন।