জেলার খবর রাজনৈতিক খবর

চলে গেলেন ডায়মন্ড হারবার এক নম্বর ব্লক সভাপতি উমাপদ পুরকাইত।

উমাপদ পুরকাইত, নামটির সাথে জেলার প্রত্যেকটি মানুষ অতপ্রতভাবে পরিচিত। তিনি আর কেউ নন, সবার প্রিয় কাকা। ডায়মন্ডহারবার এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা, জেলার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ। গত বুধবার তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে ভর্তি হন সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকেরা। আর তারপর থেকেই কলকাতার পিজিতে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসা কিছুটা সাড়া দিলেও অবশেষে 68 বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিত ছিল উমাপাদ পূরকাইত। গ্রাম্য রাজনীতির মধ্য দিয়েই তার রাজনীতির উত্থান। জন্ম ডায়মন্ড হারবার আবদালপুর গ্রামে ১৯৫৭ সালে ২রা জুলাই। চাষী পরিবার থেকে উঠে আসা হুমাপাতে পুর্কায়েত এর রাজনৈতিক জীবনে ছিল একাধিক উত্থান পতন। তখন সিপিএমের শাসন কাল, সেই সময় থেকেই গ্রাম্য রাজনীতির মধ্য দিয়েই উঠে আসেন তিনি। ২০০৩ সালে জেলা পরিষদের সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন, এর পরবর্তী সময় ২০০৮ সালে জেলা পরিষদের সদস্য হিসাবে দাড়ালেও পরাজিত হন। এরপর ২০১৩ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেলার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মদক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পান* ।

এরপর ২০১৮ সালে ডায়মন্ড হারবার এক নম্বর ব্লক সভাপতি দিবাকর ঘোষের মৃত্যুর পর তিনি আবারো পুনরায় ডায়মন্ড হারবার এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান।

আর তারপর থেকেই দক্ষতার সাথে ডায়মন্ড হারবার এক নম্বর ব্লক সভাপতি দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। মানুষের যেকোনো অসুবিধায় তিনি ছুটে যেতেন মানুষের পাশে। পোস্ট কথা বলতে ভালবাসতে। একাধিকবার তখনকার সময়ের ডায়মন্ডহারবারের বিধায়ক দীপক হালদারের সাথে একাধিক বিষয়ে তার মতানৈক্য হয়। কিন্তু তারপরেও ডায়মন্ড হারবার এক নম্বর ব্লকের প্রত্যেকটি মানুষের কাছেই তিনি অত্যন্ত কাছের কাকা হিসাবে পরিচিত ছিলেন।

কিন্তু হঠাৎ করেই তার অকাল প্রয়ানে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। আর তার এই মৃত্যু রাজনৈতিক মহলের একটা বড় নক্ষত্রপতন বলে মনে করছেন তৃণমূল কর্মীরা। আমরাও বেঙ্গল প্রেস টিভির পক্ষ থেকে ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *