পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই রাজ্যের নজরে গ্রামীণ রাস্তা উন্নয়ন ও সংস্কার সাধন। এই কাজ পুজোর আগেই মিটিয়ে নিতে চায় রাজ্য। কেন্দ্রীয় বরাদ্দের অপেক্ষা না করে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মাফিক বিকল্প উপায় খুঁজল নবান্ন। রাজ্যের ১১৪০ কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা উন্নয়ন ও সংস্কার কাজের জন্য নাবাড থেকে ঋণ দিচ্ছে রাজ্য। মোট ১০৩৮ কোটি টাকা আরআইডিএফ স্কিমে নিচ্ছে পঞ্চায়েত দফতর বলে নবান্ন সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে কয়েক মাস ধরে। পাশাপাশি গ্রামীণ সড়ক যোজনা ও আবাস যোজনারও টাকা বন্ধ করেছে কেন্দ্র।
সম্প্রতি পশ্চিম বর্ধমানের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিকল্প উপায় খুঁজে বের করা নির্দেশ দেন রাজ্য প্রশাসনকে। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা বরাদ্দ বন্ধ করে দিলেও উন্নয়ন যে থমকে থাকবে না সে বিষয়েও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দেন নবান্নের প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে। ইতিমধ্যেই আবাস যোজনার অন্তর্গত যে বাড়িগুলি তৈরির কথা ছিল সেই বাড়িগুলি যাতে দ্রুত শুরু করা যায় সেই বিষয়ে ইতিমধ্যে জেলাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে পঞ্চায়েত দফতর। পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ নিয়ে রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের তরফে বিস্তার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে জেলাগুলিকে।
অন্য দিকে কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রকের পরিদর্শনকারী দল বিভিন্ন জেলাতেও পরিদর্শন শুরু করেছে ১০০ দিনের কাজ গ্রামীণ সড়ক যোজনার প্রকল্প সঠিকভাবে রাজ্যে কার্যকরী হচ্ছে নাকি তা দেখার জন্য। সেই সময়ই রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের তরফে এই সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। নবান্ন সূত্রে খবর পুজোর আগেই গ্রামীণ রাস্তাগুলির নির্মাণ ও সংস্কার যে অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়ছিল তা নিয়ে একমত ছিল নবান্নের শীর্ষ মহল। তার জন্যই এই বিপুল পরিমাণ টাকার যোগান কী হবে তা পেতে চাইছিল নবান্ন। সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই নাবার্ড এই ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে মৌখিকভাবে সম্মতিও দিয়েছে রাজ্যকে। সে ক্ষেত্রে এই অনুদান পেয়ে গেলেই পূজোর আগেই গ্রামীণ রাস্তা গুলি সংস্কার ও নির্মাণের রাজ্যে শেষ করে দিতে চাইছে রাজ্য তার ইঙ্গিত মিলেছে বলেই সূত্রের খবর।
ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। আসন সংরক্ষণসহ একাধিক পদক্ষেপের জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর কয়েক দফার নির্দেশও দিয়েছে জেলাগুলিকে। সে ক্ষেত্রে আগামী বছরে গোড়াতেই রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করছে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহল।