দেশের খবর

‘উৎসবের সতর্ক থাকুন , মাক্স পড়া অভ্যাসে পরিণত করুন ‘প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের ৭ পয়েন্ট এক নজরে জেনে নিন।

বিউরো ঃ- মাত্র ২৭৯ দিনে ১০০ কোটি টিকা। টিকাকরণের এই রেকর্ড সাফল্যকে দেশের শক্তি এবং সামর্থ্যের প্রতিবিম্ব হিসাবে বর্ণনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তাঁর মতে, এটা ইতিহাসের নতুন অধ্যায়ের সুচনা। এটা সেই নতুন ভারতের প্রতিচ্ছবি, যা কঠিন লক্ষ্য নির্ধারণ করে তা অর্জন করতে জানে।

তবে, এই সাফল্য উদযাপনের পাশাপাশি দেশবাসীকে সতর্কও করেছেন মোদি। উত্‍সবের মরশুমে কোনওরকম ঢিলেমি করা উচিত হবে না বলেই মত প্রধানমন্ত্রীর। এক নজরে তাঁর ভাষণের হাইলাইটস:

১। সব প্রশ্নের জবাব: ভারত যে গতিতে ১০০ কোটির টার্গেট পার করেছে তার প্রশংসা হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। আগে ভারত বেশিরভাগ ভ্যাকসিন বিদেশ থেকে আনত। তাই অনেকে প্রশ্ন তুলছিলেন, এই মহামারীতে (Coronavirus) ভারতের কী হবে? ভারত এত মানুষকে টিকা দিতে পারবে তো? ভারত এত টাকা কোথায় পাবে? আজ এই ১০০ কোটি ভ্যাকসিন সব প্রশ্নের জবাব দিয়ে দিয়েছে। ভারত নিজের নাগরিকদের ১০০ কোটি টিকা দিয়েছে, তাও বিনামূল্যে।

২। বিশ্বের দরবারে গুরুত্ব বাড়ল ভারতের: বিশ্ব এবার ভারতকে করোনা থেকে আরও সুরক্ষিত বলে মেনে নেবে। ভারতকে যে বিশ্বের মেডিক্যাল হাব মনে করা হত, সেটা আরও বেশি করে প্রতিষ্ঠা পেল। জাতির উদ্দেশে ভাষণে বললেন মোদি।

৩। ভিআইপি কালচার বর্জন: ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এবং সবকা প্রয়াসের’ জলজ্যান্ত উদাহরণ টিকাকরণের এই রেকর্ড। ভারতের মতো গণতন্ত্রে অনুশাসন বজায় রাখা কঠিন হবে বলে দাবি করছিলেন অনেকে। কিন্তু আমাদের গণতন্ত্রের লক্ষ্যই হল, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলা। টিকাকরণ (Vaccination) অভিযানে ভিআইপি কালচার মেনে হয়নি। যে যতই ভিআইপি হোক, যতই বড়লোক হোক। সবাইকে টিকা নিতে হয়েছে সাধারণ মানুষের মতোই। সেটাই এই সাফল্যের চাবিকাঠি।

৪। বিজ্ঞান নির্ভর টিকাকরণ: ভারতের পুরো টিকাকরণ অনুষ্ঠান বিজ্ঞান নির্ভর, বিজ্ঞানের দান এবং বিজ্ঞান থেকেই জন্ম নেওয়া। ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) তৈরি থেকে টিকাকরণের পুরো প্রক্রিয়ায় বিজ্ঞান যুক্ত আছে। কোন রাজ্যে কত ভ্যাকসিন যাওয়া উচিত? কোথায় কখন কত ভ্যাকসিন পৌঁছাতে হবে, সেটাও বিজ্ঞানের ভিত্তিতেই ঠিক করা হয়েছে। আর এটা নিয়ে আমাদের গর্ব হওয়া উচিত।৫। আশার আলো: আজ চারিদিকে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। বহু বিদেশি সংস্থা ভারতের অর্থনীতি নিয়ে আশাবাদী। দেশের সংস্থাগুলিতে বহু বিদেশি বিনিয়োগ আসছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে রোজগারের উপায়। স্টার্ট-আপ বাড়ছে। সরকার প্রচুর ফসল কিনছে, কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা ঢুকছে। উত্‍সবের মরশুমে দেশ আরও দ্রুত গতিতে এগোবে।৬। মেড-ইন-ইন্ডিয়ায় জোর: দেশবাসী বুঝতে পারছে মেড-ইন-ইন্ডিয়ার শক্তি। তাই আজ আমি আপনাদের বলব, ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র মেড-ইন-ইন্ডিয়া পণ্য কিনুন। সেই সব পণ্য কিনুন যা কোনও ভারতবাসী নিজের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তৈরি করেছেন। আজ যদি আমার দেশের ভ্যাকসিন আমাকে সুরক্ষা দিতে পারে তাহলে আমার দেশের তৈরি জিনিস, আমাদের দিওয়ালি আরও সুন্দর করতে পারবে।৭। সতর্ক থাকার পরামর্শ: দেশ বড় লক্ষ্য নির্ধারণ এবং অর্জন করতে জানে। কিন্তু এখনও অসাবধান হওয়া চলবে না। আমার অনুরোধ, উত্‍সবের মরশুমে পুরোপুরি সতর্ক থাকেন। আমার একটাই বক্তব্য, মাস্ক পরাটা আমাদের অভ্যেস করে ফেলতে হবে। যারা এখনও ভ্যাকসিন পাননি, তাঁরা এটাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিন। যারা টিকা পেয়েছেন তাঁরা অন্যদের উত্‍সাহ প্রদান করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *