তনুশ্রী ভান্ডারী ডেস্ক ঃ-
প্রেমের পথে ‘কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন স্বামী। অতএব উপায়? স্বামীকেই সরিয়ে দিলেন স্ত্রী! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জীবনতলা থানার তাম্বুলদহের হরিনদা এলাকায়। এখতার শেখ নামের ওই ব্যক্তিকে তাঁর স্ত্রী মরজান শেখ ও প্রেমিক এনামুল হক শ্বাসরোধ করে খুন করেন বলে অভিযোগ।
শুক্রবার অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এখতার শেখ আদতে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা হলেও ২১ বছর আগে তিনি জীবনতলার হরিনদা এলাকার বাসিন্দা মরজান শেখকে বিয়ে করেন। পেশায় রাজমিস্ত্রি একতার। ওই দম্পতির দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে কলকাতায় কাজ করে এবং ছোট ছেলে মামার বাড়িতে থাকে। সম্প্রতি, এখতারের বাড়িতে যাতায়াত বাড়িয়েছিলেন তাঁরই বন্ধু এনামুল হক। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর সঙ্গে
পরিচয় হয় মরজান শেখের। এনামুলের বাড়িও মুর্শিদাবাদের লালগোলা এলাকায়। তিনি মেটিয়াবুরুজে কাজ করতেন। এনামুল ছিলেন এখতারের ছোটবেলার বন্ধু। ফলে বাড়িতেও অবাধ যাতায়াত ছিলই।
সেই সুবাদে এনামুল প্রায়ই জীবনতলার ওই বাড়িতে যাতায়াত করত। বুধবার রাতে এনামুল ওই বাড়িতে আসেন। অভিযোগ স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে এনামুল ও মরজান শেখের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা আরও গভীর হয়। পরে বাড়ি ফিরে এখতার তাঁর স্ত্রী ও বন্ধুকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের। তাঁদের আরও অভিযোগ, মরজানের সঙ্গে এনামুলের সম্পর্ক নিয়ে আগেও একাধিকবার এখতারকে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু, এখতার নাকি তাতে বিশেষ পাত্তা দেননি। কিন্তু, বুধবার কার্যত সমস্ত আশঙ্কাই সত্য়ি হয়। ঘনিষ্ঠ অবস্থায় নিজের স্ত্রীকে বন্ধুর সঙ্গে দেখে ফেলেন এখতার। প্রতিবাদও করেন। তারপর এখতারকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বুধবার রাতেই বাড়ি থেকে চিত্কার চেঁচামেচির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু, বৃহস্পতিবার কার্যত সব ঠাণ্ডা হয়ে পড়ে। সকলেই তাতে খানিক অবাক হয়েছিলেন। পরে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে স্থানীয়রাই গিয়ে এখতারের মরদেহ আবিষ্কার করেন। পুলিশকেও খবর দেন এলাকাবাসীই। পরে পুলিশ এসে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় ও মরজান-এনামুলকে গ্রেফতার করে।