বিউরো ঃ- অনেকদিন ধরে কোন কাজ ছিল না। সংসারে ছিল অভাব অনটন। উঠতে বসতে কথা শোনাতেন স্ত্রী সে কারণেই। নিজের মৃত্যুর নাটক করে এক ব্যক্তি নিত্যদিনের এই অশান্তিস্থির অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে তীর অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে ছাগলের রক্ত দিয়ে কিসের হাত পাতলেন স্বামী থেকে মুক্তি পেতেই।কিন্তু কীভাবে করলেন তিনি এই কাজ, বিস্মিত হতেই হবে তা শুনলে। ভারতের বিহারে ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা যায়, ছাগলের রক্ত ব্যবহার করেন ওই ব্যক্তি মৃত্যুর প্রমাণ দিতে।
যদিও শেষরক্ষা হয়নি পালিয়ে গিয়েও। সত্যিটা সামনে আনে পুলিশ শেষপর্যন্ত তদন্তে নেমে। তিনি সত্য কথা জানান ওই ব্যক্তিকে আটক করার পরই।জানা যায়, প্রদীপ কুমার রাম ওই ব্যক্তির নাম। বেকার তিনি দীর্ঘদিন ধরেই। অন্যদিকে, সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী হলেন ৩৩ বছর বয়সি স্ত্রী প্রতিভা কুমারী। তিনি হলেন একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। সংসারে অশান্তি লেগেই ছিল স্বামী কোনও কাজ না করায়। নিখোঁজ হন প্রদীপ আচমকাই ২৯ ডিসেম্বর রাত থেকে। প্রতিভা সকালে উঠে দেখেন স্বামী যেখানে ঘুমিয়ে ছিলেন, সেখানে রক্ত পড়ে আছে। তিনি অভিযোগ দায়ের করেন পুলিশে। অভিযোগে জানান, অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা তার স্বামীকে খুন করে লাশ গায়েব করে দিয়েছে।
ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় তন্নতন্ন করে খুঁজেও প্রদীপের মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর মধ্যেই বাড়ির অদূরে একটি বোতল পাওয়া যায়। তাতে তখনও রক্ত লেগে ছিল। সন্দেহ হয় পুলিশের। যে জায়গাটিতে রক্ত লেগেছিল, সেটি দেখে সন্দেহ আরও জোরালো হয়। জোরদার তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে উত্তরপ্রদেশের জামানিয়া থেকে শেষপর্যন্ত ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় শেষপর্যন্ত সত্যিটা জানান প্রদীপ। বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সংসারে অশান্তি করতেন স্ত্রী। তাই বাজারে মাংসের দোকান থেকে ৪০ টাকা দিয়ে এক বোতল ছাগলের রক্ত কিনে আনেন। আর তা দিয়েই নিজের মৃত্যুর গল্প ফেঁদে বাড়ি থেকে পালান। শেষপর্যন্ত মুচলেকা দিয়ে রেহাই পান প্রদীপ।