Blog

সংসারে সুখ সমৃদ্ধি চান? নবরাত্রিতে এই কাজগুলি করলেই মিলবে সুখ,

বিউরো ঃ- আর মাত্র কয়েকটা দিন বললে ভুল হবে, বাঙালি রীতিমতো মায়ের আগমনের জন্য দিনের প্রত্যেক মুহূর্ত গুনছেন। কারণ বাঙালির জীবনের সবথেকে বড় মহোত্‍সব হলো দুর্গোত্‍সব। এছাড়াও ঘরে ঘরে পালন করা হচ্ছে নয় দিন ধরে নবরাত্রি। নবরাত্রিতে দেবী মায়ের নয়টি রূপের আরাধনা করা হয়।

অনেকেই বাড়িতে ঘট স্থাপন করে নবরাত্রির দিনগুলিতে পুজো করেন। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, নয় দিন ধরে মা দুর্গার আরাধনা করলে ঘরে সুখ শান্তির সমৃদ্ধি ঘটে এবং ভক্তদের মনের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। নবরাত্রিতে অবশ্যই কিছু কাজ মেনে চলুন। তাহলে মনে প্রশান্তির সাথেই সংসারেও শান্তি সর্বদা বিরাজমান হবে।

•নবরাত্রিতে মায়ের মূর্তি ও ঘট স্থাপন করুন উত্তর-পূর্ব দিকে। কারণ এই দিককে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবে আশেপাশে যেন কোন শৌচালয় না থাকে।

•নবরাত্রির দিনগুলোতে নুন এবং শস্যজাতীয় খাবার বর্জন করুন। তার পরিবর্তে খাবারের তালিকায় রাখুন নানান ফল, ময়দার খাবার, সৈন্ধব লবণ প্রভৃতি।

•পুজোর দিনগুলিতে কালো রঙের এবং অপরিষ্কার পোশাক একেবারেই পরিধান করা উচিত নয়। নিজের যতটুকু সামর্থ্য সেই অনুযায়ী পরিষ্কার বস্ত্র পরিধান করার চেষ্টা করুন।

•নবরাত্রির দিনগুলোতে নখ, চুল, দাড়ি কাটা একেবারেই উচিত নয়। তবে অনেকেই এই দিনগুলোতে বাচ্চাদের ন্যাড়া করেন।

•রসুন, পিঁয়াজ, মাংস, মদ এই সব খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। অনেকেই মনে করেন এইসব খাবার মনের একাগ্রতা নষ্ট করে ।

•বিশেষ করে অবলা কিংবা নীরব পশুপাখিদের বিরক্ত করবেন না। উপরন্তু চেষ্টা করুন নবরাত্রির দিনগুলোতে তাদেরকে একটু জল এবং খাবার প্রদান করতে। দেবী দুর্গার বাহনেরাও কিন্তু প্রত্যেকে প্রাণী।

•যে ঘরে ঘট স্থাপনা করবেন খেয়াল রাখবেন সেই ঘর যেন কোন মতেই ফাঁকা না থাকে। অর্থাত্‍ বাড়িতে সর্বদা ব্যক্তির উপস্থিতি থাকতে হবে।

•ঘট প্রতিষ্ঠা করা মানেই দেবীকে আমন্ত্রণ জানানো। তাই নবরাত্রির প্রত্যেকদিনই সকাল-সন্ধ্যা দেবী মায়ের উদ্দেশ্যে নৈবেদ্য সাজাতে হবে।

•দ্বন্দ্ব, হিংসা, ক্ষোভ এগুলি মানবমনে অশান্তি সৃষ্টি করে। নবরাত্রির দিনগুলোতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন এগুলো থেকে দূরে থাকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *