ডেস্ক:- রাজধানী এক্সপ্রেস দেশের অন্য়তম প্রিমিয়াম ট্রেন। আর ওই ট্রেনের প্রথম শ্রেণীর কামরায় এক ব্যক্তি শুধুমাত্র স্য়ান্ডো গেঞ্জি এবং জাঙ্গিয়া পড়ে বেমালুম ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পরে জানা যায় ওই ব্যক্তি আসলে বিধায়ক। যার ভিডিও সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এরপর ওই বিধায়ক তাঁর কাণ্ডের জন্য দিলেন অদ্ভূত সাফাই।
ঠিক কী হয়েছিল?
বৃহস্পতিবারই পাটনা থেকে দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেসের প্রথম শ্রেণীর কামরায় (এ-১) দিল্লি যাচ্ছিলেন বিহারের গোপালপুর বিধানসভার জেডিইউ বিধায়ক গোপাল মণ্ডল। ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি সকলের সামনে পোশাক ছাড়তে শুরু করেন। একসময় তিনি শুধুমাত্র অন্তর্বাস পড়েই ট্রেনের শৌচালয়ে যান। এই মুহূর্তের একটি ভিডিও সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। আরও জানা যাচ্ছে, তাঁর এই আচরণের জন্য অন্য়ান্য যাত্রীরা প্রতিবাদ জানালে তিনি তাঁদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন, এমনকি হুমকিও দিয়েছেন। পরে আরপিএফ বাহিনীর তত্পরতায় সমস্য়া মেটে। আরপিএফ পরে জানিয়েছে, পাটনা-নিউ দিল্লি তেজস রাজধানী এক্সপ্রেসের এ-১ কোচের ১৩, ১৪ ও ১৫ সিটগুলি বিধায়ক গোপাল মন্ডলের নামে বুক করা হয়েছিল। অপর দিকেই ২২ ও ২৩ নম্বর আসনে নিজের পরিবারকে নিয়ে সফর করছিলেন প্রহ্লাদ পাসওয়ান নামক এক ব্যক্তি। তাঁদের সামনেই বিধায়ক পোশাক ছাড়তে থাকেন এবং একসময় শুধুমাত্র অন্তর্বাস পড়েই ঘুরতে শুরু করেন ট্রেনের মধ্যে। তাঁরা প্রতিবাদ করতেই বিধায়ক এবং তাঁর সঙ্গীরা হুমকি দেন। পরে অন্য়ান্য যাত্রীরাও প্রতিবাদ জানালে শুরু হয় বচসা। খবর যায় রেলরক্ষী বাহিনীর কাছে।
গোটা ঘটনায় লজ্জিত জনতা দল ইউনাইটেডের (ডেডিইউ) শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে বিধায়ক তাঁর আচরণের জন্য অদ্ভূত যুক্তি দিয়েছেন। শুক্রবার সকালে দিল্লিতে সংবাদসংস্থা এএনআইকে তিনি জানান, আমার পেট খারাপ ছিল, বারবার শৌচালয়ে যাচ্ছিলাম। সেই সময়ই ছবিটি তোলা হয়েছে। আমি সম্পূর্ণ সত্যি কথাই বলছি।