দেশের খবর

মেয়ের ধর্ষণ রুখতে খুনের দায়ে ৭০ বছরের মাকে যাবজ্জীবন, এত বার কুঠার না মারলেও চলত!! বলল কোর্ট ।

বিউরো ঃ- মেয়েকে ধর্ষণের (rape attempt) চেষ্টা করা ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে দোষী (guilty) সাব্যস্ত বিধবা (widow) মহিলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড (life imprisonment)। দশেরার আগের দিন, ১৪ অক্টেবর এই রায় দিয়েছেন বুলন্দশহরের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক রাজেশ্বর শুক্লা।কারাদণ্ড হওয়া মহিলার বয়স প্রায় ৭০। মামলার বিচার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে রায় (verdict) ঘোষণা হতে হতে কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ১১টি বছর। তার মধ্যে সেই মেয়ে বিয়ে করে সংসার করছে, বাচ্চার মা-ও হয়েছে। বিচারকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পক্ষে যুক্তি, মহিলা ধর্ষণের চেষ্টা ঠেকাতে অভিযুক্তকে বারবার কুঠার (axe) দিয়ে আঘাত না করলেও পারতেন, সামান্য বলপ্রয়োগেই কাজ হতে পারত। এটা ‘পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে, পরিকল্পনামাফিক হত্যা’, বলেছেন বিচারক। রায়ে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত কস্তুরী দেবী অভিযুক্ত প্রবীণ কুমারকে হত্যায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ঘটনার দিন ছিল ২০১০ এর ৩১ জুলাই। সেসময় প্রবীণের বয়স ছিল ২০। খুনের পর কস্তুরী দেবী বুলন্দশহরের অনুপশহর থানায় গিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তখন তাঁর বয়স ৫৯। আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, পুলিশ আদালতকে যা জানিয়েছে, সেই অনুসারে, কস্তুরী পুলিশের কাছে গিয়ে বলেন, তিনি প্রবীণকে খুন করেছেন। সে মাঝরাতে তাঁদের বাড়ি ঢুকে তাঁর মেয়েকে জাপটে ধরে। ২০ বছরের মেয়ের যৌন নিগ্রহ হতে দেখে কস্তুরী বারান্দার এক পাশে পড়ে থাকা কুঠার হাতে তুলে নিয়ে অভিযুক্তকে আঘাত করেন,যার ফলে তার মৃত্যু হয়। আদালতে জমা পড়া ময়নাতদন্তের রিপোর্টে প্রকাশ, প্রবীণের ঘাড়ের ওপর ৫টি গভীর আঘাত ছিল, চোখের নীচে, চিবুকেও আঘাতের চিহ্ন ছিল। রায়ে বলা হয়েছে, প্রবীণের সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয় পাঁচটি আঘাতের জেরে। কস্তুরী মেয়ের ধর্ষণ ঠেকাতে চাইলে এতবার আঘাত না করলেও পারতেন, সামান্য বলপ্রয়োগ করলেই হয়ে যেত। প্রবীণের মৃত্যুক পর পুরো পরিবার তার দেহ বাড়ির বাইরে বের করে সাহায্য চেয়ে চিত্কার করতে থাকে। যা থেকে মনে হয়, এটা প্ল্যানমাফিক হত্যাকাণ্ড। যদিও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কস্তুরীর ছেলে, মেয়ের দাবি, মা ধর্ষণ রুখতে গিয়ে প্রচণ্ড রাগেই খুন করেন প্রবীণকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *