Uncategorized অর্থনীতি

মিউচুয়াল ফান্ড না কি পিপিএফ!! কোথায় বিনিয়োগ করলে সবচেয়ে বেশি লাভ হবে??

অনুশ্রী ভান্ডারী ডেক্স ঃ-

পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং মিউচুয়াল ফান্ড, দীর্ঘ মেয়াদে মোটা টাকা আয় করতে এই দুটি মাধ্যমেই বিনিয়োগ করেন লগ্নিকারীরা। এদের মধ্যে বেশ কিছু মিল আছে। আবার অমিলও কম নেই। আসলে দুটিতে বিনিয়োগের উদ্দেশ্য আলাদা। দীর্ঘ মেয়াদে কোনটা সবচেয়ে উপযুক্ত হবে, সেটা এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড:

সাধারণত অবসরকালের জন্য পিপিএফে টাকা জমানো হয়। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, এক, এই অ্যাকাউন্টে বছরে জমা করা দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কর আইনের ৮০সি ধারার আওতায় ছাড় পাওয়া যাবে আর অর্জিত সুদের ওপর কোনও কর বসবে না। দুই, ব্যাঙ্কে স্থায়ী আমানতের চেয়ে এখানে বেশি সুদ মিলবে। প্রতি তিন মাসের জন্য সুদের হার কেন্দ্র নির্ধারণ করে। বর্তমানে পিপিএফে ৭.১ শতাংশ হারে সুদ মিলছে।

পিপিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে ঋণও নেওয়া যায়। নিয়ম অনুসারে অ্যাকাউন্ট খোলার তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ বছরের মধ্যে ঋণ পাওয়া যায়। এই ঋণ ৩৬ মাসের মধ্যে শোধ দিতে হবে। ১৯৭৩ সালের সরকারি সেভিংস ব্যাঙ্ক আইন অনুসারে কোনও আদালত কারও পিপিএফ অ্যাকাউন্টের অর্থ বাজেয়াপ্ত করতে পারবে না।

– ‘গ্রেট ইন্ডিয়ান লুঠ!’ রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ মমতার, ট্যুইটে তীব্র আক্রমণ

অ্যাকাউন্ট খোলার সাত বছর থেকে সঞ্চিত অর্থের কিছুটা অংশ তুলে নেওয়া যায়। তবে ঋণ আর মিলবে না। প্রাণঘাতী অসুখের চিকিত্‍সা বা উচ্চশিক্ষার প্রয়োজনে অ্যাকাউন্ট খোলার পাঁচ বছর পরে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে টাকা তুলে নেওয়া যায়।

সুবিধাগুলো একনজরে – ১। সরকার কর্তৃক সুরক্ষিত। ২। ৮০সি ধারায় আয়কর ছাড় মেলে। ৩। ৫০০ টাকা দিয়ে পিপিএফ শুরু করা যায়। ৪। স্থির সুদের আয়।

মিউচুয়াল ফান্ড:

একাধিক বিনিয়োগকারীর থেকে টাকা নিয়ে মিউচুয়াল ফান্ড তৈরি হয়। এই ফান্ড পরিচালনা করেন ফান্ড ম্যানেজাররা।

সুবিধাগুলো একনজরে – ১। উচ্চ রিটার্ন ২। পেশাদারদের দ্বারা পরিচালিত ৩। এককালীন এবং এসআইপি, দুভাবেই বিনিয়োগ করা যায় ৪। অল্প পরিমাণ টাকা দিয়েও বিনিয়োগ শুরু করা যায়।

– ‘কেন বাচ্চার হাতে স্মার্টফোন দিলাম!’ কেঁদে আত্মহারা মা এখন শুধু বিলাপ করছেন

বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন? অ্যাসোসিয়েশন অফ রেজিস্টার্ড ইনভেস্টমেন্ট অ্যাডভাইজারস (এআরআইএ) এর বোর্ড সদস্য দিলশাদ বিলিমোরিয়া বলছেন, কী উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ করা হচ্ছে এবং কতটা বিনিয়োগকারী কতটা ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত, এই দুটি জিনিস মাথায় রেখে বিনিয়োগ করা উচিত। এছাড়া কত সময় ধরে বিনিয়োগ করা হচ্ছে অর্থাত্‍ মেয়াদকালও গুরুত্বপূর্ণ।

তাঁর মতে, পিপিএফ এবং মিউচুয়াল ফান্ড, বিনিয়োগের জন্য দুটোই ভালো বিকল্প। পিপিএফ থেকে স্থায়ী আয় পাওয়া যাবে। মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে ইকুইটি, ডেবট, সোনা এবং আরও বহু ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সুবিধে রয়েছে। বিলিমোরিয়ার কথায়, উপরের প্যারামিটারগুলি বিবেচনা করেই কোন সম্পদ শ্রেণীতে বিনিয়োগ আদর্শ হবে সেটা বুঝতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *