বিউরো ঃ- রাস্তার যা অবস্থা, বাঁধেরও তাই। অতিবর্ষণে দুর্বল বাঁধ ভেঙে গিয়েই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বন্যা (flood)। এদিন তমলুকে এমনটাই দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ম্যান মেড বন্যার তত্ত্বের কটাক্ষ করতে গিয়ে তিনি বলেন, নিজের চেয়ার বাঁচাতে গিয়েই এই পরিস্থিতি।বন্যার জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রীবিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে বলেন, এই বন্যার জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজ
নন্দীগ্রামের বিধায়কের অভিযোগ, গত কয়েক দশক ধরে বর্ষার আগে ফেব্রুয়ারি-মার্চে যে কাজ হয়, তা তিনি এবার করেননি, বলা ভাল করতে দেননি। কেননা এই মুখ্যমন্ত্রী ভাতা দেওয়ার কাজে ব্যস্ত। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে তাঁকে খরচ করতে হবে ১৮ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা। এছাড়াও তিনি ভবানীপুরের উপনির্বাচন নিয়েও ব্যস্ত ছিলেন। সেই কারণেই এই ঘটনা। তাঁর আরও অভিযোগ, যেসব জায়গায় বন্যা হয়েছে, তা বাঁধ ভাঙার কারণে হয়েছে। ডিভিসির জল ছাড়ার কারণে হয়নি।
৫০ লক্ষ মানুষকে ভাসিয়েছেন
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী নিজের চেয়ার বাঁচাতে, ৫০ লক্ষ মানুষকে ভাসিয়েছেন। এত বড় অপরাধ করেছেন যে, ঈশ্বর মাফ করবে না, বলেছেন বিরোধী দলনেতা। ঝাড়খণ্ডের জলে বন্যা, এই অভিযোগ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, কথা একেবারেই অসত্য। সব জায়গায় ক্যামেরা পাঠালেই দেখা যাবে, দুর্বল বাঁধ ভেঙেই এই পরিস্থিতি। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সরকার দায়ী।
১৫ দিন ধরে জলের তলায় মানুষ
শুভেন্দু অধিকারী আরও অভিযোগ করেন, পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া, ভগবানপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং গত ১৫ দিন ধরে জলের তলায়। সরকার স্থায়ী বাঁধ তৈরি করেনি বলেই এই পরিস্থিতি, অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তিনি যখন হলদিয়া উন্নয়ন পর্যদের চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন উন্নয়ন পর্যদের টাকায় সেচ দফতরকে দিয়ে মেচেদা খান, পাকুর খাল, সোয়া দিঘি খাল, মির্জাপুর খালের পলি তোলার ব্যবস্থা করেছিলেন। সরকারের টাকায় নয়, কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটিতে হলদিয়ার শিল্পসংস্থাগুলোর টাকায় তিনি কাজ করিয়েছিলেন।
ডিএম বলেছেন শাঁখ বাজাতে
দক্ষিণবঙ্গের আটজেলায় বন্য পরিস্থিতি ভয়াবহ। যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিভিসির বিরুদ্ধে অসময়ে জল ছাড়ার অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ম্যান মেড বন্যার অভিযোগও তিনি করেছে। এদিন এনিয়েই প্রতিক্রিয়া জানা গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মাঝ রাতে ১.১৫ নাগাদ বাঁধ ভাঙার খবর পেয়েই তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের ডিএমকে ফোন করেন। শুভেন্দু অধিকারীর দাবি অনুযায়ী ডিএম তাঁকে জানান, স্যার কিছু করার নেই। তিনি (ডিএম) বিডিওকে বলেছেন, মাইকিং করে দিন। আর শাঁখ বাজিয়ে সরে যেতে। কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই তো সরকারের অবস্থা।t