বিউরোঃ- মন্দিরে গেলেই প্রসাদ হিসেবে পাওয়া যায় ফুল এবং ফল। ভক্তরা করজোরে ভক্তিভরে সেই প্রসাদ গ্রহণ করেন। অনেক ভক্তই আবার ভগবানের উদ্দেশ্যে নিবেদন করেন বহুমূল্য নৈবেদ্যের ডালি। তার মধ্যে থাকে সোনা রুপোর গহনা পর্যন্ত। অনেকে আবার ভগবানের উদ্দেশ্যে প্রণামী বাক্সে প্রদান করেন অর্থ।
কিন্তু মধ্যপ্রদেশের রতলামের মা মহালক্ষ্মীর মন্দির একটু ব্যতিক্রম। এখানে ভক্তদের প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয় সোনা রূপো। অনেকে মনে করেন এই মন্দিরের দেবী অত্যন্ত জাগ্রত। দেবীর উদ্দেশ্যে ভক্তরা নিজেদের সামর্থ্য মত নৈবেদ্য অর্পণ করেন। তার মধ্যে ফল, বস্ত্র, সোনার গয়না, মূল্যবান রত্ন প্রভৃতি থাকে।
প্রতিবছর ধনতেরাসের দিন মহালক্ষ্মীর এই মন্দিরে বহু ভক্তবৃন্দের সমাগম হয়। মন্দিরের কোষাগারে উপচে পড়ে অর্থ এবং সোনা রূপোর গয়নায়। বেশিরভাগ মানুষ দেবীর উদ্দেশ্যে মূল্যবান গহনা নিবেদন করেন। সারা বছরে প্রাপ্ত সমস্ত ধনসম্পত্তি মজুত করে রাখা হয় মন্দিরের ভান্ডারে। বছরের বিশেষ কিছু দিনে মজুত ধনসম্পত্তি সাধারণ মানুষদের প্রসাদ হিসেবে দান করা হয়।
প্রসাদ বিতরণের ক্ষেত্রে কোন বাদ বিচার করা হয় না। যে কেউ গেলেই এই প্রসাদ পেতে পারেন। এই প্রসাদ বিতরণের বিশেষ দিনগুলিতে রীতিমতো মহালক্ষ্মীর মন্দিরে ভিড় উপচে পড়ে। লাইন দিয়ে দেবী মায়ের প্রসাদ গ্রহণ করতে হয়। ভক্তবৃন্দ এই প্রসাদ রূপি মূল্যবান গহনা কেউ খরচ করেন না। প্রত্যেকে যত্ন করে নিজেদের ঘরে রেখে দেন এবং মনে করেন মহালক্ষ্মীর এই প্রসাদ সংসারের জন্য অত্যন্ত মঙ্গলজনক।