ভুয়ো স্কুল ইন্সপেকশন করিয়ে সরকারি অর্থ লোপাটের অভিযোগ, এরই প্রতিবাদে বালুরঘাট জেলাশাসকের অফিসের সামনে আন্দোলন একটি রাজবংশী সংগঠনের
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এই ভুয়ো ইন্সপেকশন ঘটনার পেছনে রয়েছে রাজবংশী সংগঠনের চেয়ারম্যান বংশীবদন বর্মন।
বালুরঘাট: দীর্ঘদিন ধরেই রাজবংশী শিক্ষা সংসদের তরফের যে সব স্কুল রয়েছে, সেগুলিতে পরিদর্শন হয়নি। তবে স্কুল ইন্সপেকশন না করিয়েও ‘অন্য ভুয়ো স্কুল ইন্সপেকশন করানো হচ্ছে।’ ঠিক এমনই অভিযোগ তুলে শুক্রবার জেলা শাসক ও জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানালেন রাজবংশী শিক্ষা সংসদের দক্ষিণ দিনাজপুর শাখার সদস্যরা।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এই ভুয়ো ইন্সপেকশন ঘটনার পেছনে রয়েছে রাজবংশী সংগঠনের চেয়ারম্যান বংশীবদন বর্মন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর টাকা আত্মসাৎ করতেন এমনটা করছেন। উল্লেখ্য, রাজবংশী ভাষার উপর গুরুত্ব দিয়ে রাজবংশী স্কুলগুলিতে ১০ কোটি টাকা সাহায্যের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাদ্যায়। এখন অভিযোগকারীদের বক্তব্য, আসল স্কুলে নজরদারি না করে অস্তিত্ব নেই এমন বহু স্কুলে ইন্সপেকশন করা হচ্ছে।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ এই ঘটনার পেছনে রয়েছেন তৃণমূল ঘনিষ্ঠ নেতা বংশীবদন।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ১৬টি রাজবংশী স্কুল রয়েছে। যেখানে প্রায় ৩০০ পড়ুয়া রয়েছে। প্রায় ৫০ জন শিক্ষক রয়েছেন। রাজবংশী শিক্ষা সংসদের অধীনে ২০১২ সাল থেকে এই স্কুলগুলি চলছে। এই স্কুলগুলি মূলত রাজবংশী ভাষা বা মাতৃভাষার শিক্ষাদান ও রাজবংশী ভাষার সম্প্রসারণে কাজ করে।
কিন্তু এই স্কুলগুলিতে কোনও ইন্সপেকশন হচ্ছে না বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। তাই শুক্রবার সকালে রাজবংশী ভাষায় শিক্ষা সংসদের শিশুয়া পাঠশালা পরিদর্শন ও সরকারিকরণের দাবিতে বালুরঘাটে জেলা শাসক ও জেলা স্কুল পরিদর্শকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে ডেপুটেশন দেয় রাজবংশী ভাষা শিক্ষা সংসদের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কমিটি।
বিক্ষোভকারীদের দাবি না মানা হলে তারা আগামী দিনে আরো বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন বলে জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকারের কটাক্ষ“রাজবংশী ও আদিবাসী সম্পদায়ের প্রকৃত উন্নয়ন ব্যতি রেখে কিছু ভুয়ো নেতা বানিয়ে কীভাবে সরকারি অর্থ তছরূপ করা যায় তার খেলা চলছে। ভুয়ো ভ্যাকসিন, ভুয়ো অফিসারের বাড়বাড়ন্ত যে রাজ্যে, সেখানে ভুয়ো স্কুল করে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ স্বাভাবিক ঘটনা।”