জেলার খবর দেশের খবর রাজ্যের খবর

বেসরকারি স্কুলগুলির দাদাগিরির বিরুদ্ধে পথে নামলো UGA

গত কয়েক দিন ধরেই বেসরকারি স্কুল গুলোর দাদা গিরি দেখছে রাজ্যের সাধারন মানুষ। বেসরকারি স্কুল গুলি বারে বারে  প্রমাণ করেছে তারা শুধুই শিক্ষার ব্যাবসা করে, সমাজিক কোনো দায়িত্ব তাদের নেই।এমন কি মহামান্য হাইকোর্ট এর রায় কে তারা বুড়ো আঙুল দেখতে ভয় পায় না। বেসরকারি স্কুলগুলোর এই আচরণে নিরুপায় হয়ে পথে নেমে অন্দোলন করতে বাধ্য হোল অভিভাবক সংঘটন United Guardian’sAssociation .হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী ৮০% ফি দেওয়া সত্বেও বেশ কিছু বেসরকারি স্কুল পড়ুয়াদের ক্লাস করতে অনুমতি না দেওয়ার প্রতিবাদে এবং বেসরকারি স্কুলগুলোর দৌরাত্ম্য কে নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্যে একটি আইন প্রণয়ন ও রেগুলেটরি বডি তৈরির দাবিতে দেওয়া আজ united Guardians’ Association এর আহ্বানে শতাধিক অভিভাবকের এক মিছিল ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেল থেকে শুরু হয়ে মৌলালি পর্যন্ত যায়। এই মিছিলে ভুক্তভোগী পড়ুয়াদের অভিভাবকরা ছাড়াও কলকাতা ও শহরতলীর বহু স্কুলের অভিভাবকরা অংশগ্রহণ করেন। ইউনাইটেড গার্ডিয়ান্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ” করোনা পরিস্থিতিতে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে তা শুধু অমান্য করেছে তাই নয়, রাইট টু এডুকেশন অ্যাক্ট ২০০৯ অনুযায়ী শিক্ষার যে অধিকার ছাত্র – ছাত্রীদের রেজাল্ট না দিয়ে, পরবর্তী শ্রেণীতে পড়তে না দিয়ে তা ব্যাহত করেছে। আইনকে যারা মানছে না তারাই আইন শৃঙ্খলার অবনতির কথা বলছে ! স্কুল খোলার নোটিশে তারা জানিয়েছে, যারা স্কুল কর্তৃক ধার্য করা ফি (হাইকোর্ট নয়) দিয়েছে তারা প্রবেশের অনুমতি পাবে। আমরা স্তম্ভিত বেসরকারি স্কুলগুলো এতো সাহস পায় কোথা থেকে। হাইকোর্টের রায় কে বারবার অমান্য করে চলেছে অথচ আমরা এই স্কুলগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ক্ষেত্রে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখছি না।

অপরদিকে করোনা পরিস্থিতি কেটে গেলেও মানুষের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এখন খুবই সংকটগ্রস্ত অথচ বেসরকারি স্কুলগুলো ইতিমধ্যেই পড়ুয়া পিছু ২০% থেকে ৬০% ফি বাড়িয়েছে। এর ফলে স্কুলের বার্ষিক আয় ১২৫% থেকে ১৪০% বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক্ষেত্রে তারা রাজ্য সরকারকে জানিয়েছে কি না আমরা জানি না। রাজ্যে বেসরকারি স্কুলের এই দৌরাত্ম্য রুখতে আইন প্রণয়ন ও রেগুলেটরি বডি তৈরি করা অত্যন্ত প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের উচিৎ স্কুলগুলোর বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া। এই অচলাবস্থা দূর করার এবং অবিলম্বে সমস্ত ছাত্র – ছাত্রীর জন্য স্কুল খোলার ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রীর দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *