আন্তর্জাতিক জেলার খবর দেশের খবর রাজ্যের খবর স্বাস্থ্য

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাণীর দেহ উদ্ধার নামখানায়, এলাকায় চাঞ্চল্য

বিউরো: সকাল আটটা নাগাদ বিশাল আকৃতির সামুদ্রিক প্রাণীকে সমুদ্রতটে পড়ে থাকতে দেখে চমকে ওঠেন এলাকাবাসী। প্রাণীটিকে দেখে রীতিমতো চাঞ্চল্যও ছড়ায়।
নামখানার লয়ালচর এলাকায় তিমির দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। তিমি জাতীয় সামুদ্রিক প্রাণীটিকে দেখতে ভিড়ও জমান স্থানীয়রা।

বন দফতর সূত্রের খবর, সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ নদীর চরে দেখা যায় তিমির মৃতদেহ। প্রায় ৬০ ফুট লম্বা এই ফিন হয়েল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাণী হিসেবে চিহ্নিত। নদীর স্রোতে ভেসে এসেছে বিশাল আকৃতির এই মৃত প্রাণীর দেহ এমনটাই মত বনদফতরের। স্থানীয় সূত্রে খবর এমন প্রাণী তাঁদের জীবদ্দশায় দেখেছেন বলে মনে করতে পারছেন না কেউই।

প্রাণীর ছবি তোলা নিয়েও হট্টগোল শুরু হয়। স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকরাও ভিড় জমাতে শুরু করেন। বনদফতরের অনুমান বেশ কিছুদিন আগেই প্রাণীটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। কেন সৈকতে সামুদ্রিক প্রাণীর দেহ ভেসে আসছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তারিত পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

গত বছর ভারত মহাসাগরের একেবারে গভীর সমুদ্রে বসবাসকারী নীল তিমি ভেসে এসেছিল মন্দারমণিতে। বঙ্গোপসাগরে জলের যে তাপমাত্রা ও মান, সেখানে তিমি থাকতে পারে না বলেই মত। কিন্তু মন্দারমণির তীরে ভেসে ওঠা এই প্রাণীটিকে প্রাথমিকভাবে নীল তিমি বলেই মনে করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। প্রাণীটির মৃত্যু নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছিল।  জাহাজ চলাচল খুব কম হচ্ছে, ফলে জাহাজের ধাক্কায় এর মৃত্যুর আশঙ্কা প্রায় নেই।

এরই মধ্যে ৬০ ফুট লম্বা এই ফিন হয়েল কীভাবে নামখানা উপকূলে এল তা নিয়ে দ্বন্দ্বে সমুদ্র বিজ্ঞানীরাও। মনে করা হচ্ছে সমুদ্রে দূষণ মৃত্যুর কারণ হয়ে থাকতে পারে। জোয়ারের জলে সম্ভবত ভেসে এসেছে প্রাণীটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *