বিউরো, ডেস্কঃ- দলবদলের আইন তোয়াক্কা না করে এখন বিধায়করা দলবদল করছেন। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ভোটে ৭৭ টি আসন জিতেছিল। একুশের ভোট মিটতেই পর পর ধাক্কা খাচ্ছে বিজেপি। গত সপ্তাহে একের পর এক বিজেপি বিধায়ক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।
মুকুল রায় তৃণমূলে যেতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন অনেক বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে আসতে চাইছেন। বিজেপি বিধায়কেরা তৃণমূলে যোগ দিয়েই জানাচ্ছেন তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে কর্মযজ্ঞে তারা শামিল হতে চায়। ভোটের পর থেকেই রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে বিজেপির ছোট বড় নেতারাও তৃণমূল শিবিরে যোগ দিচ্ছেন। বিশেষ করে মুকুল রায় শিবির বদল করতেই বিজেপিতে ভাঙন প্রকট হচ্ছে। তাতে নাম ভাসছে অনেকের।
গত সপ্তাহে তন্ময় ঘোষ ,সৌমেন রায়রা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন।এই পরিস্থিতিতে জল্পনা বাড়িয়ে আজ মুকুল রায়ের বাড়িতে যান নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া ২ পৌর প্রতিনিধি। ২০১৬ সালে মুর্শিদাবাদের কান্দি পুরসভা নির্বাচনে জয়ী হয় নির্দল প্রার্থী দেবজ্যোতি রায়, শান্তনা রায়। ২০২০ সালে তারা বিজেপিতে যোগদান করেন।
তবে নির্বাচনের পর যখন বঙ্গে দলবদলের হিড়িক সেইসময় ফের একবার জল্পনা বাড়ালেন ২ পৌর প্রতিনিধি। যদিও মুকুল রায় জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বের উপর তাদের পূর্ণ আস্থা আছে ওরা দেখা করতে এসেছিলেন। অপরদিকে মুচকি হেঁসে মুকুল রায় বলেন বিজেপির বিধায়কেরা তৃণমূলে যোগ দিতে লাইন দিয়ে আছে। প্রায় ২৪ জন বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে আজ স্পষ্ট জানিয়ে দেন মুকুল রায়।
তিনি বলেন তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে থাকতে চাইছেন। অর্থাত্ মুকুল রায় তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে আসা বিধায়কদের তালিকা কিন্তু ছোটখাটো নয় বেশ লম্বা চওড়া।