“তোমার প্রকাশ হোক, কুহেলিকা করি উদঘাটন, সূর্যের মতন ।”
দুর্গাপুরের বিধাননগরের একটি সভাগৃহে প্রকাশিত হলো কবি ,সাহিত্যিক শিবদাস রুদ্রের লেখা একটি উপন্যাস ‘বনাঞ্চল রাজকাহিনী ’। এটি লেখকের লেখা ষষ্ঠ পুস্তক । শিল্প শহর দুর্গাপুর কয়েক বছর ধরে শিক্ষা ,সাহিত্য ও সংস্কৃতি দিক থেকে বেশ উন্নত ।পুস্তক প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের উওরসূরী সাহিত্যিক সৌম্যশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় , সাহিত্যিক কালীপ্রসাদ দও , প্রেসিডেন্ট রোটারি ক্লাব অনুপ মুখার্জ্জী, সমাজ সেবক অমিতাভ ব্যানার্জ্জী , বাচিক শিল্পী গৌতম চক্রবর্তী , কবি স্নেহাশীষ মুখোপাধ্যায় , শিল্পী ইলা পাল , শিল্পী তরুণ সাহা , বাচিক শিল্পী হৃদয় সাঁই ,শুভ্রা পাল , অর্চনা সিংহরায় ,আন্তরিক পত্রিকার সম্পাদিকা অন্তরা সিংহরায় প্রমুখ সহ আরো পঞ্চাশ জন কবি সাহিত্যিক ও শিল্পীরা । সাহিত্যিক শিবদাস রুদ্র সাহিত্য চর্চা করতেন শৈশব থেকেই তবে ব্যাপকভাবে শুরু ৭৪ বছর বয়সে । শিবদাস বাবু সাহিত্য জগতের এক অনুপ্রেরণার নাম । আজ ৭৮ বছর বয়সে এসে উনি অনবরত লিখে চলেছেন ও লেখাগুলি পুস্তক আকারে প্রকাশ করে চলেছেন । পাঠকের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন কয়েক বছরে। অনুষ্ঠানে বাংলা সাহিত্য নিয়ে আলোচনা , কবিতা পাঠ , সংগীত ,নৃত্য , শ্রুতিনাটক ,গল্প পাঠ সব মিলিয়ে সব বর্ণাঢ্য সভা চলে পাঁচ ঘন্টা ধরে । অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে কবি সাহিত্যিক ও শিল্পীরা দাবী করেন বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে সম্পূর্ণ কলকাতাকেন্দ্রিক করে রাখা হয়েছে । দুর্গাপুরে এতো প্রতিভা থাকা সত্বেও কবি সাহিত্যিকদের চর্চা করার জন্য স্বল্পমূল্যে কোনো সরকারী সভাগৃহ নেই । আমরা সরকারী সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত ।অতি সত্বর আমাদের চর্চা করার জন্য সরকারী সভাগৃহের ব্যবস্থা করা হোক তবেই সাহিত্য ও সংস্কৃতির পথে এগিয়ে আসবে আগামী প্রজন্ম।
