বিউরো ঃ- প্রতিদিনই নানা রকমের অনেক অদ্ভুত পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা শোনা যায় বিশ্বে। এর মধ্যে কেউ চরম সফলতা পায়, কেউ আবার তেমন ডাহা ফেল করে। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে যে এক্সপেরিমেন্ট করা হয়েছে, তা যথেষ্ট প্রভাব ফেলার মত। বিশ্বজুড়েই পেট্রল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভারতে প্রায় সব রাজ্যেই সেঞ্চুরি পেরিয়েছে জ্বালানির দাম। গাড়ি-বাইক চালানো নিয়ে যখন নাভিশ্বাস উঠেছে সেই সময়ই আজব কাণ্ড করলেন এক ব্যক্তি। বাইকের ট্র্যাঙ্কে পেট্রলের বদলে ভর্তি করলেন অ্যালকোহলে। দিলেন স্টার্ট…এরপর?
অনেকে অবশ্য বলবেন এটা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু ইউটিউবের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বাইক কিন্তু চলেছে! তবে কি সত্যিই পেট্রলের বদলে অ্যালকোহল ঢেলে বাইক চালানো সম্ভব?
এই পরীক্ষাটিতে প্রথমে ওই ব্যক্তি তার বাইক থেকে সমস্ত পেট্রল বের করে এবং তারপর অ্যালকোহল ভর্তি করে। তবে তা আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল। যার মধ্যে অ্যালকোহলের পরিমাণ ৯৫ শতাংশ। আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল এবং পেট্রলের মধ্যে মিল রয়েছে বেশ কিছু। যেমন দুজনের মধ্যে স্ফুলিঙ্গ তৈরির ক্ষমতা রয়েছে এবং তারা উদ্বায়ী। তবে পার্থক্য হল অ্যালকোহল জলে মিশে যায় এবং পেট্রোল জলে মেশে না।
বাইকের ট্যাঙ্কে পেট্রলের পরিবর্তে আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল রাখার পর যখন ওই ব্যক্তি বাইক স্টার্ট করেন তখন কিন্তু সকলকে অবাক করে বাইকটি স্টার্ট নেয়। যদিও মনে করা হচ্ছে কার্বুরেটরের ভিতরে থাকা সামান্য পেট্রলই বাইকটি চালু হতে সাহায্য করেছে। কার্বুরেটর থেকে পেট্রল শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার চলেছে বাইকটি।
এরপর সাইলেন্সর থেকে অ্যালকোহলের গন্ধ বেরোতে শুরু হতেই বোঝা যায় যে বাইকটি আর পেট্রলে নয়, অ্যালকোহলেই চলছে। যদি প্রথমে বেশ কয়েকবার ঝাঁকুনি দিয়ে স্টার্ট নেয়। রাস্তায় বেশ কয়েকবার থেমেও যায় বাইকটি। কিন্তু অবাক করে দিয়ে প্রায় ২-৩ কিলোমিটার অ্যালকোহলেই অতিক্রম করে বাইকটি।(বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ- এই পরীক্ষাটি সম্পূর্ণত বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে করা হয়েছে। তাই বাড়িতে এই পরীক্ষা করা উচিত নয়। যেকোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।)