তনুশ্রী ভান্ডারী ডেক্স ঃ-বিশ্ব জুড়ে থাবা বসিয়েছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। ভারত ও বাদ নেই আক্রান্তের তালিকা থেকে। কিন্তু ওমিক্রন নিয়ে কেন্দ্রের দেওয়া নয়া তথ্য সামনে আসতেই ঘুম চলে গিয়েছে বিশেষজ্ঞদের। টিকাতেও আটকানো যাচ্ছে না মারণ রোগ করোনার এই নতুন প্রজাতিকে! পাশাপাশি বাদ যাচ্ছে না শিশুদের শরীরও।কেন্দ্রের প্রকাশিত তথ্য,শুক্রবার ওমিক্রন নিয়ে দেশজুড়ে করা একটি সমীক্ষার ফল সামনে এনেছে কেন্দ্র। যেখানে বলা হয়েছে দেশে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তি করোনা টিকার সম্পূর্ণ ডোজ নিয়েছেন। কেন্দ্রর পক্ষ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে যে শুধুমাত্র টিকাতেই আটকানো যাবে না ওমিক্রন, কারণ এখনও পর্যন্ত যা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে করোনার অন্যান্য প্রজাতির থেকে এমনকি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের থেকেও বেশি পরিমানে সংক্রামক এই ওমিক্রন প্রজাতি।
রাজেশ ভূষণের তথ্যকেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ আরও এক তথ্য সামনে এনেছেন। যা নিয়েও বাড়ছে উদ্বেগ। তিনি জানিয়েছেন দেশে ওমিক্রন নিয়ে বিশেষজ্ঞরা যে পর্যবেক্ষণ চালিয়েছেন তাতে দেখা গিয়েছে ভারতে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের ২৭ শতাংশ রোগীর বিদেশ ভ্রমনের ইতিহাস নেই। অতএব তাঁরা অমক্রন আক্রান্ত হয়েছেন অন্য কোনও রোগীর সংস্পর্শে এসে।
টিকাও ঠেকাতে পারছে না ওমিক্রন!ওমিক্রনে টিকাকরণের যে তথ্য সামনে এসেছে তা রীতিমত চাঞ্চল্যকর। দেশে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের মধ্যে ৮৭ জন করোনার সম্পূর্ণ ডোজের টিকা নিয়েছেন, কিন্তু তার পরেও তাঁরা ওমিক্রনের শিকার হয়েছেন। শতাংশের বিচারে যা দেশে এই নয়া প্রজাতিতে আক্রান্ত মোট সংখ্যার ৯১%। এরমধ্যে ৩ জনের বুস্টার ডোজও নেওয়া আছে। বাকি ১৮৩ জনের মধ্যে মাত্র ৭ জন ছাড়া প্রত্যেকেই টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তি। দুজন প্রথম ডোজের করোনা টিকা নিয়েছেন। আক্রান্তের মধ্যে ৭৩ জনের টিকা নেওয়া হয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। কিন্তু প্রকাশিত তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেখা যাচ্ছে এই মুহূর্তে দেশে যে যে টিকার প্রচলন রয়েছে তাতে বিশেষ একটা ঠেকানো যাচ্ছে না ওমিক্রন। আর এই তথ্য বেশ উদ্বেগজনক।
করোনা টাস্ক ফোর্সের প্রধানের বক্তব্যভারতে ভারতের কোভিড-১৯ টাস্ক ফোর্সের প্রধান ডক্টর ভি কে পল সতর্ক করেছেন যে ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রন একটি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দ্রুত ছড়াতে পারে। একজন মাস্ক না ব্যবহার করা ব্যক্তি বাইরে থেকে সংক্রমণ নিয়ে আসছেন,তিনি বাড়ির অন্যদের সংক্রামিত করবেন অনেক দ্রুত। ওমিক্রনে এই ঝুঁকি বেশি।
বুস্টার ডোজে থামবে ওমিক্রন?এই মুহূর্তে বাজারে করোনার টিকা প্রচলিত রয়েছে কোভাক্সিন, কোভিশিল্ড, স্পুটনিক-ভি এছাড়াও ফাইজার। কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে কোনও কিছুতেই খুব একটা কাজ হচ্ছে না। তাই শেষপর্যন্ত ত্রাতা কী বুস্টার ডোজ? এবিষয়ে কোভিড-১৯ টাস্ক ফোর্সের প্রধান ডক্টর ভি কে পল সম্প্রতি ‘হু’এর দেওয়া একটি বিবৃতি উল্লেখ করে বলেছেন, এটি আগে দৃঢ়ভাবে প্রমাণ হওয়া উচিত যে বুস্টার ডোজ সত্যিই মানুষের দেহ থেকে ওমিক্রনকে শেষ করতে পারবে কিনা। সবদিক বিচার করে দেখে তবেই প্রচলন করতে হবে বুস্টার ডোজের।