বিউরোঃ পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকসাইটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিল ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা—সিবিআই। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে রাজ্যের আসানসোল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় সিবিআই। অনুব্রতকে গ্রেপ্তারের ৫৭ দিনের মাথায় গরু পাচার মামলায় ৩৫ পাতার অভিযোগপত্র দেওয়া হলো।
বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। গত ১১ আগস্ট অনুব্রত মণ্ডল তাঁর বীরভূমের বাসভবন থেকে সিবিআইর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তখন বীরভূমের ব্যাংকে তল্লাশি চালিয়ে সিবিআই হদিস পেয়েছিল অনুব্রতর প্রায় ১৭ কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের।
সিবিআই সূত্র বলেছে, অনুব্রতর বিপুল অঙ্কের টাকা বিভিন্ন জেলার একাধিক ব্যাংকে মূলত স্থায়ী আমানত (ফিক্সড ডিপোজিট) হিসেবে রয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা ও বীরভূমে অনুব্রতর প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডল ও কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামে একাধিক সম্পত্তির বিষয়ে তদন্ত করছে সিবিআই।
অনুব্রত-ঘনিষ্ঠদের নামে একাধিক চালকলেরও সন্ধান পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তবে অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেছেন, তাঁর নামে কোনো বেনামি সম্পত্তি নেই।
কেন্দ্রীয় একাধিক তদন্ত সংস্থার তৎপরতার পর থেকে এ পর্যন্ত একাধিক তৃণমূল মন্ত্রী ও নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে আর একটি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গত ২২ জুলাই তৃণমূলের সাবেক মন্ত্রী ও দলটির মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর বেহালার বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে।
একই সময় গ্রেপ্তার হন অর্পিতা মুখার্জিও। অর্পিতাও আলিপুর মহিলা কারাগারে বন্দী রয়েছেন। বারবার তাঁরা জামিনের আবেদন করলেও আদালত তা খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে পার্থ, অর্পিতাসহ কারাগারে বন্দী ৫ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত কারাগারে থাকতে হবে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়সহ ১৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত ৩০ সেপ্টেম্বর আলিপুরের সিবিআইর বিশেষ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে সিবিআই। অভিযোগপত্রে পার্থসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
পার্থ ছাড়া অন্যদের মধ্যে আছেন রাজ্যের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান কল্যাণময় বন্দ্যোপাধ্যায়, স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসির সাবেক সহকারী সচিব অশোক সাহা, এসএসসির সাবেক উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহা, এসএসসির প্রোগ্রাম অফিসার সমরজিৎ আচার্য, এসএসসির সাবেক চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার প্রমুখ।