গঙ্গাসাগর মেলার আগে মুড়িগঙ্গা নদীতে শুরু হয়েছে ড্রেজিং করার কাজ। ড্রেজিং করা হলে তবেই নদীর নাব্যতা বাড়ানো সম্ভব হবে। কিন্তু নদীর যে চ্যানেল দিয়ে ভেসেল চলাচল করে সেই চ্যানেলে চলছে পলি তোলার কাজ। আর ড্রেজিং চালু হওয়ার জন্য বিঘ্নিত হচ্ছে ভেসেল পরিষেবা। ফলে সমস্যায় পড়েছে নিত্যযাত্রীরা।
জানা গিয়েছে, আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হচ্ছে এবারের সাগরমেলা। সেজন্য পরিকাঠামো তৈরীর পাশাপাশি কাকদ্বীপের মুড়িগঙ্গা নদীতে শুরু হয়েছে ড্রেজিং। ট্রেজিং করে পলি তোলার কাজ চলছে। পাঁচ টি ড্রেজার দিয়ে চলছে এই পলি তোলার কাজ। নদীর যে চ্যানেল দিয়ে ভেসেল চলাচল করে সেই চ্যানেলে চলছে পলি তোলার কাজ। ভাটার সময় ওই চ্যানেল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তখন পলি তোলার কাজ করা সম্ভব নয়। এখন দিনে জোয়ারের সময় মাত্র ঘন্টা চারেক ভেসেল চালানো সম্ভব হচ্ছে। ফলে এই পলি তোলার জন্য মুড়িগঙ্গা নদীতে ভেসেল পরিষেবা বিঘ্নিত হতে শুরু করেছে। বর্তমানে সারাদিনে মাত্র ৪ ঘন্টা চলছে ভেসেল পরিষেবা। এরফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নিত্য যাত্রী থেকে শুরু করে গঙ্গাসাগরে আগত পূর্ণ্যার্থীরা। ভেসেলের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদের।
একটি সম্পূর্ণ দিনের কুড়ি ঘন্টারও বেশি সময় সাগরদ্বীপের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকছে। এই পরিস্থিতিতে সাগরদ্বীপের একমাত্র ভেসেল পরিষেবা স্বভাবিক রাখতে সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষজন। এই সমস্যা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
আসন্ন সাগর মেলার কথা ভেবে মুড়িগঙ্গা নদীর নাব্যতা বাড়াতে শুরু হয়েছে ড্রেজিং। মূলত, জোয়ারের সময় নদীর যে চ্যানেল দিয়ে ভেসেল চলাচল করে সেই চ্যানেলে চলছে পলি তোলার কাজ। ওই চ্যানেল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ভাটার সময়। এখন দিনে জোয়ারের সময় মাত্র ঘন্টা চারেক ভেসেল চালানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন ভূতল পরিবহন নিগমের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা।
