ডেস্ক : (সুমিতা তপস্বী) ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা কি হবে মুখোমুখি? উত্তর অবশ্য আর্জেন্টিনা – কলম্বিয়া ম্যাচের পর জানা যাবে। তবে পেরুর বিরুদ্ধে ৫০তম ম্যাচে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে ব্রাজিল, চলতি কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টে ফাইনালের টিকিটটা কনফার্ম করে ফেলল। আজকের ম্যাচে একমাত্র গোলটা করেন লুকাস পাকুয়েতা।
পেরুর বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জিতে যায় ব্রাজিল।
প্রথমার্ধ থেকেই দৃষ্টিনন্দন ফুটবল উপহার দিয়েছে ব্রাজিল আর দলের অধিনায়ক নেইমার । ৩৫ মিনিটের মাথায় নেইমারের কাট ব্যাক থেকেই বল পেয়েছিলেন লুকাস পাকুয়েতা।পেরুর রক্ষণের দরজা অনায়াসেই খুলে দেন নেইমার। পেরুর রক্ষণভাগের তিনজন ফুটবলারকে কাটিয়ে নেইমার অনেকটা ভিতরে চলে যান। সেখান থেকে মাইনাস করে লুকাস পাকুয়েতার দিকে তিনি বল বাড়ান। নেইমারের বাঁ পায়ের শটে নিখুঁতভাবে পাকুয়েতার সামনে বলটা চলে আসে। সেখান থেকে ওয়ান টাচে লুকাস অনবদ্য একটা গোল করেন । পরপর দুটো ম্যাচে গোল পেলেন লুকাস পাকুয়েতা।
পরের ৪৫ মিনিটেও ব্রাজিল যে দাপিয়ে ফুটবল খেলবে, তেমনটাই আশা করা হচ্ছিল।
প্রথমার্ধ থেকেই পেরু একেবারেই নজর কাড়তে পারেনি। ব্রাজিল বেশ কয়েকটা সুযোগ তৈরি করলেও, তা শেষ করতে পারেনি। সেই সুবিধেটুকুই পেয়েছে পেরু।
তবে পেরুর গোলরক্ষক পেড্রো গ্যালেসের কথা বলতেই হবে। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটা দারুণ সেভ করেছেন তিনি। নাহলে হয়তো ফলাফল ১-০ না হয়ে ৩-০ হতে পারতো ।
দ্বিতীয়ার্ধে রিকার্ডো অ্যালবার্তো দলের রক্ষণের দিকে আরও বেশি নজর দেন। কিন্তু, লাভ সেভাবে কিছুই হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে পেরু একের পর আক্রমণে ফালাফালা করলো ব্রাজিল রক্ষণকে। দ্বিতীয়ার্ধে উদ্দীপিত ফুটবল উপহার দিয়েও ব্রাজিলের নাছোড় রক্ষণ পেরিয়ে অবশ্য গোলশোধ করতে পারল না পেরুভিয়ানরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও পেরু গোলশোধ করে ফেলতে পারত। তবে জিয়ানলুকা লাপাদুলার শট দারুণভাবে রুখে দেন ব্রাজিলের ম্যান সিটির গোলকিপার এডেরসন। দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিলের আক্রমণ অনেকটাই কমে যায়।
প্রথমার্ধে পেড্রো গ্যালেসেকে যেভাবে ব্যস্ত থাকতে হয়েছিল, দ্বিতীয়ার্ধে তিনি অনেকটাই সময় পেয়েছেন।
ম্যাচের পরের ৪৫ মিনিটে নেইমার ইনস্যুরেন্স গোল করার বেশ চেষ্টা করছিলেন। ৭১ মিনিটে লেফট-ইনসাইড চ্যানেলে রিচার্লিসনকে ট্যাকল করতে গিয়ে ফেলে দেন কারজো। নেইমার পেনাল্টির জন্য জোরদার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু রেফারি সেই কথায় কোনও কান দেননি। তবে তাতে অবশ্য ব্রাজিলের কোনও অসুবিধে হয়নি। শেষপর্যন্ত এই টুর্নামেন্ট থেকে পেরুর বিদায়ঘণ্টা বেজে গেল।