বিউরোঃ করোনার অরণ্যে সৌমিত্র ‘অক্সিজেন ম্যান’, সময়ের সাথে বদলে যায় জীবনের চালচিত্র। যেমন বদলে গেছে সৌমিত্রর জীবন।
কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের একটি কাব্যগ্রন্থের নাম ছিল হেমন্তের অরণ্যে আমি পোস্ট ম্যান।এখন করোনার আবহে সুন্দরবনের সৌমিত্র এখন অক্সিজেন ম্যান। শুধু করোনা কেন দ্বীপ বহুল সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে ডাক্তার নেই সেখানে কোন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার দুচাকার সাইকেল অক্সিজেন কনসেন্টেটর নিয়ে বিনা পারিশ্রমিকে বাড়িতে গিয়ে সেবা পৌঁছে দিচ্ছেন গোসাবার বালি পাঁচ নম্বরের বাসিন্দা সৌমিত্র মন্ডল।
গ্রাম থেকে গ্রাম ছুটে যাচ্ছে তার পক্ষীরাজের ঘোড়া সাইকেল।
জাদুকর ম্যান ড্রেকের মত কোন অলীক জাদু বলে সুপার ম্যান সৌমিত্র পৌঁছে যাচ্ছেন সুন্দরবনের গোসাবার নটি দ্বিপে।
সাইকেলের পিছনে বাঁধা অক্সিজেন কনসেন্টেটর সাইট ব্যাগে পিপি সরঞ্জাম সুগার প্রেসার মাপার যন্ত্র সবই থাকছে তাঁর সঙ্গে।ফোন করে জানালেই সৌমিত্র পৌঁছে যাচ্ছেন অসুস্থ রুগীর পাশে।
বছর আঠাশ বয়স সৌমিত্রর।প্যারা টিচার হিসেবে জীবন শুরু করলেও প্রতিযোগিতার স্রোতে ঠিকরে যান সৌমিত্র।অস্থায়ী চাকরি আর স্থায়ী না হলে কিহবে জীবনে দমার পাত্র নন তিনি।
দ্বীপ বহুল সুন্দরবনের সৌমিত্রর কাজে খুশি গোসাবার বিডিও।তিনি এক দ্বীপ থেকে আর এক দ্বীপে যাতে সৌমিত্র যেতে পারেন অক্সিজেন পরিষেবা দিতে তার জন্যে বিনা খরচে নৌকায় বা ভু ট ভুটি তে যাতায়াত ফ্রি করে দিয়েছেন।
একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সৌমিত্র কে বিনা ব্যয়ে একটি অক্সিজেন কন সেন্টেটর দান করেছেন।হেমন্তের অরণ্যে আমি পোস্ট ম্যানের মত অক্সিজেন ম্যান সৌমিত্র।
গোসাবার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ইন্দ্রনীল বর্গী জানান, আমরা গর্বিত সৌমিত্রর জন্যে।সরকার ওকে আগামী দিনে সম্মানিত করবে।
সৌমিত্র বললেন, করোনার সময় মানুষের দুঃখ দুর্দশার পাশে এই যে সেবা দিতে সে আনন্দিত।
