স্বাস্থ্য

করোণা থেকে বাঁচতে আর ভ্যাকসিন নয়! করোনার ট্যাবলেট আবিষ্কার করে গোটা বিশ্বকে চমকে দিল এই দেশ!

  • বিউরো ঃ- আস্তে আস্তে করোনার সঙ্গে লড়াই করার নানা হাতিয়ার তৈরি করে নিচ্ছে মানুষ। ভ্যাকসিন আগেই এসেছিল। এবার আসতে চলেছে পিল।

ওষুধের জেনেরিক নাম ‘মলনুপিরাভির’। এটি কোভিডের চিকিত্‍সার জন্য তৈরি প্রথম ট্যাবলেট বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এই ওষুধকে স্বীকৃতিও দিল ব্রিটেন।আমেরিকাতেও ওষুধটি স্বীকৃতি পেতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।

ব্রিটিশ ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ‘মেডিসিন অ্যান্ড হেলথকেয়ার প্রডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সি’ বা ‘এমএইচআরএ’ জানিয়েছে, কোভিডের চিকিত্‍সার ক্ষেত্রে এটিই প্রথম স্বীকৃত অ্যান্টিভাইরাল, যা রোগীকে খাওয়াতে হয়। ওষুধটি তৈরি করেছে মার্ক এবং রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিক্স। এমএইচআরএ-র বক্তব্য, পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে ওষুধটি নিরাপদ এবং কার্যকর। একাংশের কোভিড রোগীর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া বা মৃত্যুর ঝুঁকি কমিয়ে দিতে চলেছে নতুন স্বীকৃত এই কোভিডপিল মলনুপিরাভির। চিকিত্‍সকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বয়স্ক, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত বা ডায়াবিটিসের রোগীদের ক্ষেত্রেও ওষুধটি নিরাপদ। ব্রিটিশ স্বাস্থ্যসচিব সাজিদ জাভিদ বলেন– আমাদের দেশের এক ঐতিহাসিক দিন। রোগীরা বাড়িতে বসেই ওষুধটি খেতে পারবেন। যাঁদের ঝুঁকি সব চেয়ে বেশি অথচ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁরা শীঘ্রই এই চিকিত্‍সার সুযোগ পাবেন।

বিজ্ঞানীরা বরাবরই বলেছেন, অতিমারী চলে গেলেও কোভিড থাকবে। ফলে রোগটির চিকিত্‍সার জন্য স্থায়ী ওষুধ প্রয়োজন। মলনুপিরাভির পুরোদস্তুর কোভিডের চিকিত্‍সাতেই কাজে লাগবে বলে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের মত। ব্রিটেনে ওষুধটি আসতে চলেছে ‘ল্যাগেভরিও’ ব্র্যান্ড নামে। আপাতত জানা গিয়েছে, উপসর্গ দেখা দেওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে ওষুধটি খাওয়া শুরু করতে হবে। ডোজ– দৈনিক দু’টি করে ট্যাবলেট।

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, মলনুপিরাভিরের উপাদানগুলি আসলে করোনাভাইরাসের জেনেটিক কোডে গন্ডগোল করে দেয়। ফলে ভাইরাস আর নিজের প্রতিলিপি তৈরি করতে পারে না। এ ভাবেই কমতে থাকে রোগের তীব্রতা। ব্রিটেন ইতিমধ্যেই আগামি মাসের মধ্যে ৪.৮০ লক্ষ মলনুপিরাভিরের বরাত দিয়ে রেখেছে।

আমেরিকার বিশেষজ্ঞেরা চলতি মাসেই এই ওষুধটি ব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়ে বৈঠকে বসবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *