ডেস্ক, বিউরো :- “ইলিশকে কী আগামী প্রজন্ম দেখবে জাদুঘরে ?” বাজারে চলছে ইলিশের আকাল। বর্ষার রুপোলি শস্য শেষ হয়ে যাচ্ছে।তেইশ সেন্টিমিটার বা নইঞ্চির কম ছোট ইলিশ ধরে এই প্রজাতিকে শেষ করার চক্রান্ত চালাচ্ছে মুনাফা লোভী একদল ব্যবসায়ীর দল।বাজারে তাই ছেয়ে গেছে খোকা ইলিশ।তীব্র সমালোচনা ও প্রতিবাদের মুখে পড়েছে ব্যবসায়ীরা।পথে নেমেছেন সাংবাদিক থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবীরা।তাঁরা মনে করেন এর একটা বিহিত দরকার।সরকার আরো কঠোর হোক।আইনের ফাঁস গলে বড় ফাঁসের জাল ব্যবহার করে রক্ষা হোক এই মাছের প্রজাতি। ছোট্ট প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ইলিশ সংরক্ষণ ও রক্ষা করতে পারছে আমরা কেন পারব না।মাছ তো খাবার জিনিস।ছোট ছেড়ে বড় ধরুন।ছোট ধরলে ডিম ফুটে বাচ্ছা হবে কিভাবে,?
ডায়মন্ড হারবার প্রেস ক্লাব ও কুসুমের ফেরা সাহিত্য পত্রিকা উদ্যোগ নিয়েছিল দুদিন ব্যাপী ডায়মন্ড হারবার প্রশাসন ভবনের সামনে এবং গঙ্গা বক্ষে আন্তর্জাতিক ইলিশ বাঁচাও ও পর্যটন উৎসবের।চতুর্দশ বার্ষিক এই উৎসবের উদ্বোধন করেন জি বি ডির চেয়ারম্যান বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সু সাহিত্যিক ও ভূ পর্যটক অমরেন্দ্র চক্রবর্তী, কবি কমল দে সিকদার, সাংবাদিক সাজাহান সিরাজ, জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ উমাপদ পুরকাইত, ডায়মন্ড হারবার পুরসভার চেয়ারম্যান প্রণব দাস, উপ পৌর মাতা দেবকী হালদার ,ডায়মন্ড হারবার থানার আইসি গৌতম মিত্র প্রমুখ।অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন ডায়মন্ড হারবারের মহকুমা শাসক সুকান্ত সাহা।
ইলিশ বাঁচাও উৎসব কমিটির সম্পাদক সাকিল আহমেদ বলেন, মহাভারতের কাল থেকে যে রুপোলি ইলিশ বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষা করে আসছে সেই মাছকে আমরা শেষ হয়ে যেতে দেখতে পারিনা।ছোট ইলিশ বাজারে বিক্রি হলে প্রতিবাদে গর্জে উঠুন একা সরকার কিছু করতে পারবে না।আমরা ছোট ইলিশ ধরে নিজেদের পায়ে কুড়ুল মারছি।আগামী প্রজন্ম মাছ খেতে না পেয়ে জাদুঘরে শুধু ছবি দেখবে।
গঙ্গাবক্ষে পাঁচজন শিল্পী ইলিশের ভূত ও ভবিষ্যৎ নিয়ে গঙ্গা বক্ষে ক্যানভাসে ছবি আঁকেন।ইলিশ বাঁচাতে কবিতা,ছড়া লেখেন কবিরা।