বিউরো, ডেস্কঃ– ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে মমতার নিজের কেন্দ্র ভবানীপুরে তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বিপুল ভোটে জয়ও পান তিনি। রাজ্যেও ফের ক্ষমতায় ফিরে আসে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এবারে দাঁড়িয়েছিলেন নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর বিরুদ্ধে। মারকাটারি লড়াইয়ের পর সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি।

অন্যদিকে সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ীভোটে হেরে মন্ত্রীপদে বসলে ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচনে জিততে হয়। সেইমতো ঠিক হয় উপনির্বাচনে মমতা লড়বেন নিজের কেন্দ্র ভবানীপুরেই। এদিকে ৩০ সেপ্টেম্বর ভোট ভবানীপুরে, ৬ তারিখ মনোনয়নের শেষ দিন। কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হবেন কারা, তাই নিয়ে জল্পনা শিখরে। প্রধান বিরোধী দল বিজেপি এখনও নাম ঘোষণা করেনি। বাকি রইল সংযুক্ত মোর্চা। জোটস্বার্থে ‘২১ নির্বাচনে কংগ্রেসকে ভবানীপুর আসন ছেড়েছিল সিপিআইএম। কিন্তু কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপনির্বাচনে প্রার্থী দেবেনা তাঁরা। তাহলে কি আবারও মমতা বনাম মীনাক্ষী?
সূত্রের খবর, মমতার ভোট কাটতে চাইছে না কংগ্রেস। বরং যতটা সম্ভব তাঁর মার্জিন বৃদ্ধি করাই টার্গেট। লক্ষ্য লোকসভা, তাই সম্ভবত বাম আর আইএসএফের সাথে জোট ত্যাগ করবে কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সাথে একসাথে নির্বাচন লড়বে তারা।উল্লেখ্য, কদিন আগেই কেন্দ্রীয় কংগ্রেস নেতা বিরাপ্পা মইলি বলেছিলেন, ”মমতা তো আমাদেরই লোক। তৃণমূল তৈরির আগে কংগ্রেসেই ছিলেন। বাংলায় যেহেতু মমতাই বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে লড়ছিলেন, তাই আমাদের উচিত ছিল তৃণমূলের সঙ্গেই জোট করা। বাম এবং আইএসএফের সঙ্গে জোট করার থেকে তৃণমূলের সঙ্গী হলে দলের জন্য ভাল হত।”